টাঙ্গাইলের সখীপুরে দায়িত্ব পালনকালে‌ বনপ্রহরিদের ওপর হামলার ঘটনায় মামলা হয়েছে। বনবিভাগের বহেড়াতৈল বিট কর্মকর্তা রুমিউজ্জামান বাদী হয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য আলাউদ্দিন, ওয়ার্ড বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শের আলীসহ ৭ জনকে আসামি করে রোববার সখীপুর থানায় মামলা করেছেন। গত সোমবার সকালে এসআই মোশারফ হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করে আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন। 

পুলিশ, বন বিভাগ ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, সখীপুর উপজেলার বন বিভাগের বহেড়াতৈল রেঞ্জের অধীনে এমএম চালা বিটের বনপ্রহরি আব্দুল মোতালেব ও খসরু মিয়া গত শনিবার দুপুরে উপজেলার ছাতিয়াচালা এলাকা থেকে শাল গজারি গাছের এক ভ্যান লাকড়ি জব্দ করেন। ওইদিন বিকেলে তাঁরা পুনরায় ছাতিয়া বাজারে দায়িত্ব পালন করছিলেন। এ সময় বহেড়াতৈল ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আলাউদ্দিন ও ৪ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শের আলীর নেতৃত্বে স্থানীয় বিএনপি কর্মী আপন হোসেন (৩৫), শ্রমিক দলের সদস্য জাহাঙ্গীর আলম (৪৫), আয়নাল মিয়া (৫০), আজাহার আলী (৪৫), বাহাদুর মিয়া (৪০) লাঠি সোটা নিয়ে বনপ্রহরি আব্দুল মোতালেব ও খসরু মিয়ার ওপর হামলা চালায়। এতে ওই দুই বনপ্রহরি গুরুতর আহত হন। খবর পেয়ে বিট কর্মকর্তা রুমিউজ্জামান ঘটনাস্থলে গিয়ে তাঁদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। খবর পেয়ে রাতেই জেলা বন সংরক্ষকসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা দুই বনপ্রহরিকে দেখতে আসেন। 

মামলার বাদী বিট কর্মকর্তা রুমিউজ্জামান বলেন, খবর পেয়ে ছাতিয়া বাজারে গেলে আসামিরা আমাকে ও রেঞ্জ অফিসার স্যারকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। একপর্যায়ে আমাদেরকেও মারতে তেড়ে আসে। 

এ বিষয়ে বহেড়াতৈল ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি হুমায়ূন আহমেদ বলেন, ইউপি সদস্য ও তাঁর ভাই বনপ্রহরিদের মারধর করার সময় আমার ওয়ার্ডের নেতা শের আলী ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন। তিনি দুইপক্ষের সঙ্গে বিষয়টি মীমাংসা করার চেষ্টা করেন। হামলার সঙ্গে স্থানীয় বিএনপির কেউ জড়িত নয়। মীমাংসা করতে গিয়ে তাদের আসামি হতে হয়েছে। মামলা থেকে বিএনপি নেতা-কর্মীদের নাম প্রত্যাহারের অনুরোধ করেন তিনি। 

সখীপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোশাররফ হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, বন প্রহরিদের ওপর হামলার মামলার আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত আছে। আশা করছি খুব দ্রুতই তাদের আইনের আওতায় আনা যাবে।