স্টাফ রিপোর্টার
বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আতিকুর রহমান বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন, দলকে আগে দখলবাজ ও চাঁদাবাজ মুক্ত করুন। তারপর ক্ষমতা আসার স্বপ্ন দেখুন। আমরা চাই নির্বাচনের আগে এদেশ সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজ মুক্ত হোক। আপনারা চাঁদাবাজি করবেন আর ভোট আসলে ভোট পাবেন। এই স্বপ্ন কোনদিন পূরণ হবে না- এটা হচ্ছে দিবাস্বপ্ন। শনিবার (১২ জুলাই) দুপুরে টাঙ্গাইল শিল্পকলা একাডেমিক মিলনায়তনে বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের জেলার ওয়ার্ড পর্যায়ের প্রতিনিধি সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, বাংলাদেশের এমন কোন হাট-ঘাট বা বাজার নেই যা আপনারা দখল করেন নাই। দখলবাজি করবেন আর জনগণের মেন্ডেট নিয়ে ক্ষমতায় আসবেন এটা আর হবেনা। কে এমপি হবেন কে মন্ত্রী হবেন- ওই হিসাব বাদ দিয়ে আগে দলকে নিয়ন্ত্রণ করুন। তা না করতে পারলে আপনারা এদেশে মুখ দেখাতে পারবেন না। ৫ আগস্টের আগের বাংলাদেশ আর পরবর্তী বাংলাদেশ এক নয়। আগামি নির্বাচন হবে চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে। আগামি নির্বাচনে জনগন চাঁদাবাজদের ভোটের মাধ্যমে প্রত্যাখ্যান করবে। আপনাদের নিশ্চিত পরাজয় হবে ইনশাল্লাহ।
শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সকল ওয়ার্ডের প্রতিনিধিদের জনসংযোগ বাড়ানোর জন্য নির্দেশনা দেন। আগামি ১৯ জুলাই শনিবার জামায়াতে ইসলামি আয়োজিত রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ত্রয়োদশ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানে ৭ দফা দাবি আদায়ে ‘জাতীয় সমাবেশে’ যোগ দেওয়ার জন্য সকল নেতাকর্মীদের আহ্বান জানান।
প্রতিনিধি সম্মেলনে টাঙ্গাইল জেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি অধ্যাপক শফিকুল ইসলাম খানের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন জেলা জামায়াতের ইসলামীর আমীর আহসান হাবীব মাসুদ, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি মনসুর রহমান, সহসাধারণ সম্পাদক মহিববুল্লাহ, গাজীপুর শাখার সহসভাপতি মুহাম্মদ হোসেন আলী, ডা. এটিএম তৌহীদুল ইসলাম,
মুহাম্মদ হোসেন আলী, ডাঃ এটিএম মোজাহিদুল ইসলাম, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী টাঙ্গাইল জেলা নায়েবে আমীর অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাক, মোঃ শাহিনুল ইসলাম প্রমূখ।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন অ্যাডভোকেট সরকার কবির উদ্দিন, সেক্রেটারি, বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন, টাঙ্গাইল জেলা শাখা। শুরুতেই সকলেই বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানটি সমাপ্তির পরে, মিটফোর্ডে ব্যবসায়ী হত্যার প্রতিবাদে এক বিশাল বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
সম্মেলনে জামায়াতে ইসলামী ও শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের জেলা, উপজেলা ও ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।