প্রিন্ট এর তারিখঃ Sep 12, 2025 ইং || প্রকাশের তারিখঃ Jul 31, 2025 ইং
নরকের সড়ক সখীপুরে! দিনদিন বাড়ছে দুর্ভোগ

সখীপুর প্রতিনিধি:
টাঙ্গাইলের সখীপুর-কচুয়া-আড়াইপাড়া সড়কে দুর্ভোগ দিনদিন বেড়েই চলেছে। সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের অধীনে সখীপুর থেকে কচুয়া পর্যন্ত ৫ কিলোমিটার এবং কচুয়া থেকে আড়াইপাড়া পর্যন্ত ২ দশমিক ২২ কিলোমিটার সড়কের পুরোটাজুড়েই ছোট-বড় খানাখন্দক তৈরি হয়েছে। প্রতিনিয়ত আটকে যাচ্ছে যানবাহন, তৈরি হচ্ছে দুর্ভোগের যানজট। চলতি বর্ষায় বৃষ্টির পানিতে বড় গর্তগুলো যেনো মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। ফলে স্থানীয়রা সড়কটির নাম দিয়েছেন- নরকের সড়ক।
বৃহস্পতিবার সরেজমিনে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সখীপুর-সাগরদীঘি সড়কের কচুয়া বাজার থেকে বড়চওনা পর্যন্ত সংস্কার কাজ চলছে। তবে চলমান সংস্কার থেকে বাদ পড়েছে একই সড়কের কচুয়া থেকে সখীপুর পর্যন্ত ৫ কিলোমিটার। এই বাদপড়া অংশের কচুয়া বাজার চৌরাস্তা ও পৌরসভার মিলপাড় এলাকায় বড় বড় গর্ত তৈরি হয়েছে। চলতি বর্ষায় পানি ভর্তি এসব গর্তই দুর্ভোগের মূল কারণ হিসেবে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। অন্যদিকে সওজের অধীনে কচুয়া বাজার থেকে আড়াইপাড়া পর্যন্ত প্রায় আড়াই কিলোমিটার সড়কেরও একই অবস্থা। এবার বর্ষায় সড়কটির পলেস্তরা ওঠে গিয়ে নিচের মাটি পর্যন্ত বেরিয়ে গেছে। এতে সহজেই বিভিন্ন জায়গায় ভারী যানবাহন আটকে যাচ্ছে, ঘটছে দুর্ঘটনা। অথচ সখীপুর থেকে গুরুত্বপূর্ণ এ সড়ক দিয়েই ঘাটাইল, মধুপুর, গারোবাজার, ফুলবাড়িয়া, ভালুকা ও ময়মনসিংহ যেতে হয়।
ট্রাক চালক তপু মিয়া বলেন, কুতুবপুরের কলা, মধুপুর, গারোবাজারের আনারস, ঘাটাইল, সখীপুরের কলা-কাঁঠাল ভর্তি ট্রাকগুলো এই সড়ক দিয়েই চলাচল করে। কিন্তু সড়কের এই অবস্থা থাকলে কীভাবে আমরা ট্রাক চালাবো?
অ্যাম্বুলেন্স চালক আলতাব হোসেন বলেন, সড়কটি সখীপুর থেকে ময়মনসিংহ মেডিকেলে যাওয়ার সহজ রাস্তা। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে আমরা এ সড়ক দিয়ে যেতে পারি না।
স্থানীয় কচুয়া পাবলিক উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তুলা মিয়া বলেন, দীর্ঘদিন ধরে সড়কটির টেকসই সংস্কার না হওয়ায় একদিকে যেমন পথচারী, শিক্ষার্থী, হাসপাতালের জরুরি সেবাপ্রত্যাশীরা দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন, অন্যদিকে কলা, আনারস, কাঁঠাল, ডিম, পোল্ট্রি ও মৎস ব্যবসায়ীরাও চরম ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাফেরা করছে। অতি দ্রুত সড়কটি সংস্কারের দাবি জানান তিনি।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ টাঙ্গাইলের নির্বাহী প্রকৌশলী সিনথিয়া আজমেরী খান বলেন, ভারী ও অতি বৃষ্টিপাতের কারণে সড়কে খানাখন্দকের সৃষ্টি হয়েছে। কয়েকদিন আগে সখীপুর-কচুয়া সড়কের মিলপাড় এলাকায় জরুরি ভিত্তিতে বিভাগীয় মেরামতের মাধ্যমে যানবাহন চলাচলের উপযোগী করা হয়েছিল। সড়কটির স্থায়ী সংস্কার কাজে জন্যে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে চলতি অর্থবছরে পিরিয়ডিক মেইনটেনেন্স প্রোগ্রাম সড়ক মেজর-এর আওতায় আড়াইপাড়া হতে সখীপুর পর্যন্ত প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। আশা করছি অনুমোদন প্রাপ্তি সাপেক্ষে দরপত্র প্রক্রিয়া শেষে আগামী দুই-তিন মাসের মধ্যে সড়কটির স্থায়ী সংস্কার কাজ সম্পন্ন করা সম্ভব হবে।
© সকল কিছুর স্বত্বাধিকারঃdailyprogotiralo.com