টাঙ্গাইলের মধুপুরে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীতে যোগদান করা ৪০ জন বিএনপির নেতাকর্মী নন বলে দাবি করেছেন মধুপুর পৌরশাখা বিএনপির নেতৃবৃন্দ। যোগদানকারীরা স্থানীয় আওয়ামীলীগের সক্রিয় কর্মী বলেও দাবি করেন তারা। গতকাল রোববার বিকেলে মধুপুর উপজেলা বিএনপি কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এই দাবি জানান পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার মোতালিব হোসেন। তিনি এই যোগদানকে বিএনপির বিরুদ্ধে জামায়াতের ষড়যন্ত্র বলেও উল্লেখ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মধুপুর পৌরশাখা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক খন্দকার মোতালিব হোসেন।
তিনি তার বক্তব্যে উল্লেখ করেন, ‘৮নভেম্বর শনিবার রাতে মধুপুর পৌরসভার নাগবাড়ী দাখিল মাদরাসায় বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামী নির্বাচনী সভা করে। ওই সভায় ৪০জনকে বিএনপির নেতাকর্মীর পরিচয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীতে যোগদান করানো হয়। তাদের এই তথ্যটি সম্পূর্ণ মিথ্যা। বিএনপির মধুপুর পৌরসভার ১নং ওয়ার্ড কমিটির ৭১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির কোন সদস্য দলত্যাগ করে জামায়াতে যোগদান করেননি। তারা বিএনপির পতাকা আকড়ে ধরে আছে। তারা যাদের পরিচয় বিএনপির নেতাকর্মী বলে উল্লেখ করেছেন তারা মূলত আওয়ামীলীগের কর্মী সমর্থক। তারা আত্মগোপন থেকে নিজেদের রক্ষা করার জন্য জামায়াতে আশ্রয় গ্রহণ করেছে। তাদের মধ্যে আরিফুল ইসলাম, আল আমিনসহ অনেকেই আওয়ামীলীগের সক্রিয় কর্মী।’ বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামীর এমন কর্মকান্ডকে বিএনপির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র বলে দাবি করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত বিএনপি নেতা অধ্যাপক মতিয়ার রহমান, সিদ্দিকুর রহমান, জামাল হোসেন, মনিরুজ্জামান রবিনসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।
এ ব্যাপারে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মধুপুর উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ রিজোয়ানুল্লাহ খান বলেন, মধুপুর পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের যারা যোগদান করেছেন তারা বিএনপির পদবীধারী নেতা নন। তবে তারা সকলেই স্থানীয়ভাবে বিএনপির কর্মী। বিএনপির নেতৃবৃন্দ তাদের সম্মান রক্ষার্থে সংবাদ সম্মেলন করে অভিযোগ তুলেছেন। তারা এসবই করেছেন তাদের আত্মরক্ষার্থে।
ছবির ক্যাপশন: মধুপুরে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য পাঠ করেন পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার মোতালিব হোসেন।
