নানা কর্মসূচির মধ্যদিয়ে মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৯তম মৃত্যুবার্ষিকী পালন করা হয়েছে। এ উপলক্ষে গতকাল সোমবার ভোর থেকে টাঙ্গাইলের সন্তোষে ভাসানীর মাজারে মানুষের ঢল নামে। ফুলে ফুলে ছেয়ে যায় ভাসানীর মাজার। সকাল সাড়ে ৭টার দিকে মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর মাজারে পুস্পস্তবক অর্পণ ও মাজার জিয়ারতের মধ্যদিয়ে কর্মসূচি উদ্বোধন করেন মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. আনোয়ারুল আজীম আখন্দ। এরপর ভাসানী পরিবার, টাঙ্গাইল প্রেসক্লাব, ন্যাপ ভাসানী, ভাসানী পরিষদ ও বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসস্থ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে পৃথক পৃথকভাবে পুস্পস্তবক অর্পণ করা হয়। সকাল ৮ টায় তবারক বিতরণ করা হয়। এছাড়াও বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে ভাসানীর মাজারে পুস্পস্তবক অর্পণ করা হয়।
অপরদিকে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ, এনসিপি, গণঅধিকার পরিষদসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। কয়েকদিন আগে থেকেই ভাসানাীর অনুসারীরা দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে সন্তোষে আসেন।
দিবসটি উপলক্ষে প্রতি বছরের মতো এবারো স্মরণিকা, দেয়াল পত্রিকা প্রকাশ, ওরশ, স্মরণ সভা, গণভোজ, মেলাসহ দিন ব্যাপী নানা কর্মসূচি পালন করা হয়।
মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডক্টর মোহাম্মদ আনোয়ারুল আজিম আখন্দ বলেন, মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর চেতনা, মজলুমের পক্ষে তার যে দৃঢ় উচ্চারণ , তার যে ন্যায় নিষ্ঠতা এগুলোর বড়ই অভাব আমাদের দেশে। আমরা চাই নতুন প্রজন্ম তার আদর্শগুলো অনুসরণ করুক। তারা মাওলানা ভাসানীর মত মজলুমের পক্ষে অন্যায়ের বিরুদ্ধে ন্যায়ের পক্ষে কাজ করে দেশে জাতির কল্যাণ করুক। তার মত মহান নেতাকে আমরা শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি। তার আদর্শ আমাদের সবসময় অনুপ্রেরণা দেয়।
১৯৭৬ সালের ১৭ নভেম্বর চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন। পরে টাঙ্গাইলের সন্তোষে তাকে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয়।
ছবির ক্যাপশন:
