ময়মনসিংহ জেলা পরিষদ অফিসের নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অনুসন্ধানে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) একটি টিম অভিযান চালিয়েছে। 
বুধবার বেলা ১১ টায় জেলা পরিষদ কার্যালয়ে অভিযান চালায় দুদক ময়মনসিংহের চার সদস্যের একটি দল।
দুর্নীতি দমন কমিশন ময়মনসিংহ অফিসের সরকারি পরিচালক মো: বুলু মিয়ার নেতৃত্বে ময়মনসিংহ জেলা পরিষদের বিভিন্ন প্রকল্প প্রণয়নে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির তথ্য দুদকের হাতে রয়েছে। তন্মধ্যে ময়মনসিংহ জেলা পরিষদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে রাজস্ব বাজেটের 'জনস্বাস্থ্য' উপখাতে ৪৭টি প্রকল্পে ৮৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দে অনিয়ম-দুর্নীতি।
এসময় জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কবির হোসেন সরদারকে পাওয়া যায়নি। তিনি দাফতরিক কাজে ঢাকায় অবস্থান করছেন বলে জানানো হয়। এসময় অন্যান্য কর্মকর্তাদের কাছ থেকে প্রকল্পের বিভিন্ন নথি সংগ্রহ ও যাচাই-বাছাই এবং পরে নথিপত্র নিয়ে সরেজমিনে অনুসন্ধানে যান তদন্ত দল। এ ঘটনায় তদন্তের আলোকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন দুদক ময়মনসিংহ জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক বুলু মিয়া। 
তিনি আরো বলেন, নথিপত্র যাচাই-বাছাই ও সরেজমিন তদন্ত করে প্রতিবেদন পাঠানো হবে। সেই প্রতিবেদনের আলোকে  যথাযথ ব্যবস্থা নিবে কমিশন। 
এদিকে ময়মনসিংহ সদর উপজেলার ভাবখালি ইউনিয়নে এক ব্যক্তির নামে একাধিক, অস্তিত্ববিহীন প্রতিষ্ঠান ও আবেদন না করেও অনেক প্রতিষ্ঠানের নাম বরাদ্দের তালিকা পেয়েছেন। পারিবারিক কবরস্থানকে সামাজিক দেখিয়েও নেয়া হয়েছে বরাদ্দ। অভিযোগ রয়েছে স্থানীয় আইনুল হকের সঙ্গে যোগসাজশে  একই ইউনিয়নের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের অজান্তে সেসব প্রতিষ্ঠানের নামে বরাদ্দ দিয়েছেন জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কবির হোসেন সরদার। অনেকেই পরে টের পেয়ে জেলা পরিষদে যোগাযোগ করলে তাদের দিয়ে নতুন করে আবেদন করানো হয়। এছাড়া বরাদ্দের টাকা আত্মসাতেরও অভিযোগ এনে প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছে একাধিক প্রতিষ্ঠান।
দুদকের অভিযানে অংশ নেয়া অন্য তিনজন 
হলেন উপ-সহকারী পরিচালক মো:শাহাদাত হোসেন , মো: রেজুয়ান আহমেদ  ও মো: ইব্রাহিম খলিল।