সখীপুর প্রতিনিধি:
টাঙ্গাইলের সখীপুরে ছোট দুই সন্তানের সামনেই স্বামী মেহেদী হাসানের (৪০) ছুরিকাঘাতে স্ত্রী কাকলি বেগমের (৩২) মৃত্যু হয়েছে। আজ রোববার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে পৌরসভার জেলখানা মোড় এলাকায় এ মর্মান্তিক খুনের ঘটনা ঘটেছে। মেহেদী হাসান উপজেলার গজারিয়া ইউনিয়নের ইছাদীঘি গ্রামের হায়দার আলীর ছেলে। তিনি স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে পৌরসভার জেলখানা মোড় এলাকার একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী দুই সন্তান মেরি ও মিরাজ এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নিহতের পরিবার, পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত কয়েক মাস ধরে মেহেদী-কাকলি দম্পতির মধ্যে অর্থনৈতিক সঙ্কটের কারণে কলহ চলছিল। আজ রোববার সকালেও তাঁদের নয় বছরের শিশু পুত্র মিরাজ ও ১৩ বছরের মেয়ে মেরি আক্তারের সামনেই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কথাকাটাকাটি শুরু হয়। একপর্যায়ে মেহেদী তাঁর স্ত্রীর পিঠে ছুরি দিয়ে সাজোরে আঘাত করেন। এ সময় রক্তাক্ত মায়ের এ অবস্থা থেকে দুই সন্তান চিৎকার শুরু করে। স্থানীয়রা কাকলিকে উদ্ধার করে সখীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। সেখানে শিশু দুই ছেলে-মেয়ের আর্তচিৎকারে হাসপাতাল এলাকা ভারি হয়ে উঠে। এদিকে ঘটনার পর থেকেই স্বামী মেহেদী হাসান পলাতক রয়েছেন।
হাসপাতালের উপসহকারী কমিউনিটি চিকিৎসা কর্মকর্তা ফরিদ আহমেদ বলেন, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসার আগেই গৃহবধূ কাকলীর মৃত্যু হয়েছে।
সখীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবুল কালাম ভূঞা বলেন, গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্যে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। তবে নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে এখনও কেউ মামলা করতে আসেনি।