টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে ৬ মাসেও ফয়জুননেছা (৭০) হত্যার রহস্য উদঘাটন করতে পারেনি কালিহাতী থানা পুলিশ।বার বার আবেদন করেও সিআইডিতে মামলা হস্তান্তর করতে পারেনি বাদী । দুই জন আসামী আটক থাকলেই তাদের নিকট হইতে হত্যার রহস্য উদঘাটন করতে পারেনি পুলিশ।
টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার আউলিয়াদের মাঝিপাড়ায় গত ৪ এপ্রিল মৃত চান মাহমুদের স্ত্রী ফয়জুননেছা ওরফে ফজিলা (৭০) কে কে বা কাহারা নিজ বাড়িতে হত্যা করে তাহারা পরনের ২ ভরি সোনার গহনা কানের লতির ছিড়ে গলায় থাকা চেইন টান দিয়ে নিয়ে লাশ গুম করে ইরি ধান ক্ষেতে কাদা মাখিয়ে উপুর করে ফেলে যায়।
পরদিন নিহতের ছেলে ওমর ফারুক বাদী হয়ে কালিহাতী থানায় অজ্ঞাত নামে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।ঘটনা এক মাস পরে দুই জন আসামীকে আটক করলেও একদিনের রিমান্ডে এনে হত্যার রহস্য উদঘাটন করতে পারেনি কালিহাতী থানা পুলিশ। সেই থেকে আসামী গণ জেল হাজতে রয়েছে। আশংকা রয়েছে যে কোন সময় আসামী গণ জামিন নিয়ে বেরিয়ে যেতে পারে।
নিহতের বড় ছেলে ও বিবাদীর বড় ভাই ফজলু মিয়া জানান,গত ১১ মে টাঙ্গাইলের সদর থানা হইতে তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার করে র্যাবের একটি দল জয় প্রকাশ (২৬) কে আটক করে কালিহাতী থানায় সোপর্দ করে।আটক জয় প্রকাশ প্রতিবেশী উদয় চন্দ্র রাজবংশীর নেশা গ্রস্থ অনলাইন জূয়া খোর ছেলে। তার তথ্য মতে কালিহাতী থানা পুলিশ জয় প্রকাশের চাচাতো ভাই হারাতন কে আটক করে। রিমান্ডে এনেও কোন তথ্য বের করতে পারেনি।
দীর্ঘ ৬ মাস ৭ দিনেও মামলার কোন কুল কিনারা করতে না পাড়ায় জনমনে নেতিবাচক বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে। তিনি আরোও বলেন, আটক কৃত আসামী গণ প্রাথমিক ভাবে ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে।
এলাকায় জয় প্রকাশ একজন নেশা খোর। মায়ের নিকট টাকা ধার চেয়ে না দেওয়ায় দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়ে ছিল। গত ৪ এপ্রিল মাকে হত্যার ঘটনার পর হইতে জয় প্রকাশ পলাতক ছিলো।টাঙ্গাইলের র্যাব- ১৪ তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে ঘটনার সঙ্গে সন্দেহ ভাজন জড়িত থাকায় আটক করে কিন্তুু কালিহাতী থানা পুলিশ অজ্ঞাত কারেন হত্যার রহস্য উদঘাটন করছে না।
আমার ছোট ভাই ওমর ফারুক হত্যার রহস্য উদঘাটনের জন্য বার বার সিআইডিতে মামলা পুলিশ সুপারের নিকট স্থানান্তরের দাবী জানান । কিন্তুু অজ্ঞাত কারেন হচ্ছে না।ঘটনার মুল রহস্য বের না হলে আসামীগণ জামিনের মাধ্যমে বের হয়ে যাবে।
এ ব্যপারে কালিহাতী থানার মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. মনসুর রহমান জানান, হত্যার রহস্য উদঘাটন করার জন্য ও সুষ্ঠু তদন্তের । এ জন্য নতুন করে পুলিশ সুপারের নিকট আবেদন করেছেন নিহতের ছোট ছেলে বাদী ওমর ফারুক।
আমি আশাবাদী অভিলম্বে হত্যার রহস্য উদঘাটন করতে পারব।
এর আগে মামলার বাদী ওমর ফারুক ও মামলা সূত্রে জানা গেছে - গত ৪ এপ্রিল তারিখে ভোর রাতে কে বা কাহারা আমার মা ফয়জুননেছা(৭০) কে হত্যা করে আউলিয়াবাদের মাঝি পাড়ায় তল্লাই বিলে ইরি ধান ক্ষেতে লাশ গুম করে মায়ের সাথে থাকা দুই ভরি সোনার গহনা ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
মাকে ঘরে খোজে না পেয়ে নিহতের মেয়ে কদবানু চারদিকে খোজাখুজি করতে থাকেন।ভোর বেলায় বাদীর চাচাতো ভাই আ: সাত্তার তল্লাই বিলে গরুর ঘাস কাটতে ইরি ক্ষেতের আইলে বসে ঘাস কাটাকালিন বসে দেখতে পায় জমির ধান ভাঙ্গা। এগিয়ে গিয়ে দেখতে পায় বাদীর মার মরদেহ কাদা মাখা অবস্থায় পড়ে আছে।
তাৎক্ষণিক বাড়িতে সংবাদ পৌছায়। পরে সকাল ১১ ঘটিকার সময় কালিহাতী থানার ওসি আবুল কালাম ভূঞা সংবাদ পেয়ে সঙ্গীয় পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়।
এর পর পর দুইবার কালিহাতী থানার ওসি বদলী হয়ে যায়। মামলার তদন্তের গতি কমে যায়।