টাঙ্গাইলে বসত ঘরের সিধ কেটে বাক প্রতিবন্ধী মেয়েকে ধর্ষনের অভিযোগ উঠেছে বখাটে এক যুবকের বিরুদ্ধে । ভুক্তভোগীর মা বিচারের আশায় দ্বারে দ্বারে ঘুরলে এলাকার মাতব্বররা বিষয়টি ধামা চাপা দেওয়ার জন্য চর থাপর দিয়ে সমাধান করে দেন। এনিয়ে এলাকা জুড়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে।
জানা যায়,সদর উপজেলায় করটিয়া ইউনিয়নের ক্ষুদিরামপুর দক্ষিন পাড়ার মৃত মফিজ উদ্দিনের ছেলে মো.আলম মিয়া একই এলাকার বাক প্রতিবন্ধী মেয়েকে ধর্ষন করে। কয়েকদিন আগে বাক প্রতিবন্ধী মেয়েকে ঘরে তালা দিয়ে মা বন্ধুচুলা প্রতিষ্ঠানে কাজ করতে যায়। পাশ্ববর্তী বখাটে যুবক পৃর্বপরিকল্পিত ভাবে ঔতপেতে থেকে ঘরের সিধ কেটে বাক প্রতিবন্ধী মেয়েকে ধর্ষন করে। এনিয়ে এলাকার মাতব্বরদের কাছে বিচার দেন ভোক্তভোগীর মা ।
স্থানীয় মাতব্বরা গত বুধবার (১০সেপ্টেম্বর) বিকেলে ফুটিকিয়া ক্ষুদিরামপুর জামে মসজিদে শালিসের আয়োজন করেন। সেখানে মাতব্বর হিসাবে উপস্থিত ছিলেন,সাবেক ব্যাংকার মো.মোশারফ হোসেন, মোখলেছুর রহমান, মো.চান মিয়া,আ: রাজ্জাক প্রমুখ।
স্থানীয় আ.রহিম জানান, অসহায় বাক প্রতিবন্ধী মেয়েটি বাবা হারা। এলাকার মাতব্বরা যে শালিস করলো এটি মেনে নেওয়ার মত না। এলাকার প্রভাবশালী মাতব্বর মো.মোশারফ হোসেন। তিনি বিষয়টি ধামা চাপা দেওয়ার জন্য মসজিদে ডেকে এনে চর থাপ্পর দিয়ে সমাধান করেছেন। এটি ঘৃনিত একটি কাজ করেছেন। মেয়েটির মা গরীব ছোট একটি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন। প্রতিনিয়তই বাক প্রতিবন্ধী মেয়েকে ঘরে তালা দিয়ে রেখে যায়। সেই সুযোগে বখাটে ছেলে একাজ করেছে। ছেলেটি এর আগেও এই মেয়েকে বিরক্ত করতো বলে জানতে পেরেছি।
স্থানীয় মাতব্বর আ. রাজ্জাক বলেন বিষয়টি টাঙ্গাইলের এসপি ওসিসহ সবাই জানে। যার প্রেক্ষিতে বিচারে পুলিশ ছিলো। তিনি আরো বলেন বিষয়টি যে আলোচনা হয়েছে সেটি প্রকৃতপক্ষে হয়নি। আসলে ছেলেটি বখাটে হওয়াতে তাকে সন্দেহ করে ভুক্তেভোগীর মা। যার কারনে তাকে চর থাপ্পর দিয়ে শাসিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে এলাকার প্রভাবশালী মাতব্বর মো.মোশারফ হোসেন বলেন,আমরা কোন বিচার করি নাই। ছেলের বড় ভাই আজিজুল ছোট ভাইকে চর থাপ্পর দিয়ে নিয়ে গেছে। পুলিশের বিষয় নিয়ে তিনি বলেন কে বা কারা পুলিশকে বলেছে সেটা আমি জানি না। তবে তিনি বলেন আমাদের এলাকায় টহল পুলিশ থাকে তারাই শালিসে উপস্থিত ছিল।
৫নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মানিক মিয়া বলেন,বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার জন্যই কাউকে না জানিয়ে ভোক্তভোগীকে মসজিদে ডেকে সমাধান করে দেন। তবে এটি মোটেই ঠিক করেনি। গরীব লোক পাইয়া সম্ববত টহল পুলিশকে শো করে ধামাচাপা দিয়েছে।
এ ব্যাপারে সদর থানার অফিসার ইনর্চাজ তানভীর আহমেদ জানান,ভোক্তভোগী অভিযোগ দিলেই আমরা আমলে নিবো। তবে যে যাই বলুক না কেন পুলিশের কথা অনেকেই বলে সুযাগ নেওয়ার চেষ্ট করবে। সেদিকে খেয়াল না করে অভিযোগ দেওয়ার জন্য বলবো ভোক্তভোগীকে। অভিযোগ পেলেই দ্রুত আইনের আওতায় অনতে পারবো ।