ঢাকা | 12 September 2025

বল্লা করোনেশন স্কুল এন্ড কলেজে বৃক্ষ রোপণ কর্মসুচী

Deleted, Deleted
নিউজ প্রকাশের তারিখ :Aug 18, 2025 ইং
ছবির ক্যাপশন: ছবির ক্যাপশন:
ad728



মানব জীবনের অস্তিত্ব প্রকৃতির সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। প্রকৃতির ভারসাম্য নষ্ট হলে মানব সভ্যতাও হুমকির মুখে পড়ে। এই ভারসাম্য রক্ষার অন্যতম প্রধান উপাদান হলো গাছ। তাই বৃক্ষরোপণকে কেবল ব্যক্তিগত বা মৌসুমি কর্মসূচি হিসেবে সীমাবদ্ধ না রেখে একটি সামাজিক আন্দোলনে রূপ দেওয়া এখন সময়ের দাবি।

গাছ বায়ুমণ্ডলের অতিরিক্ত কার্বন-ডাই-অক্সাইড শোষণ করে এবং অক্সিজেন উৎপন্ন করে। এর ফলে বায়ুদূষণ কমে আসে এবং জীবজগত সুস্থভাবে বেঁচে থাকার পরিবেশ পায়। গাছ মাটিকে ক্ষয় থেকে রক্ষা করে, পানির ভারসাম্য বজায় রাখে এবং জীববৈচিত্র্যকে টিকিয়ে রাখে।

বর্তমানে পৃথিবী জলবায়ু পরিবর্তনের গুরুতর সমস্যার সম্মুখীন। শিল্প কারখানা ও জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহারের ফলে বায়ুমণ্ডলে গ্রিনহাউস গ্যাসের মাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর ফলে পৃথিবীর উষ্ণতা বেড়ে যাচ্ছে, হিমবাহ গলছে, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বাড়ছে। গাছ এই গ্রিনহাউস প্রভাব কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, কারণ তারা কার্বন-ডাই-অক্সাইড শোষণ করে প্রাকৃতিক "কার্বন সিঙ্ক" হিসেবে কাজ করে।

অন্যদিকে, ওজোন স্তর পৃথিবীকে ক্ষতিকর অতিবেগুনি রশ্মি থেকে রক্ষা করে। বন উজাড় ও দূষণের কারণে ওজোন স্তর ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। বৃক্ষরোপণ ও বনায়ন বৃদ্ধি করলে প্রকৃতির স্বাভাবিক ভারসাম্য বজায় থাকে, যা ওজোন স্তরকে স্থিতিশীল রাখতে সহায়তা করে।

বৃক্ষরোপণ কেবল সরকারি দায়িত্ব নয়, বরং সমাজের প্রতিটি মানুষকে এতে অংশগ্রহণ করতে হবে। স্কুল, কলেজ, মসজিদ, মন্দির, বাজার, রাস্তার ধারে এবং পতিত জমিতে বৃক্ষরোপণকে উৎসাহিত করতে হবে। গণসচেতনতা বৃদ্ধি, বিভিন্ন সংগঠনের উদ্যোগ, মিডিয়ার প্রচার ও তরুণ প্রজন্মের সক্রিয় অংশগ্রহণ বৃক্ষরোপণকে একটি গণআন্দোলনে রূপ দিতে পারে ।

বৃক্ষরোপণ হলো ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে টিকিয়ে রাখার লড়াই। প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষা, গ্রিনহাউস প্রভাব কমানো এবং ওজোন স্তর সংরক্ষণের জন্য গাছের বিকল্প নেই। তাই এখনই সময় বৃক্ষরোপণকে একটি সামাজিক আন্দোলনে রূপ দেওয়ার।


কমেন্ট বক্স

এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ