ঢাকা | 04 November 2025

টাঙ্গাইলে অবৈধ করাতকলের ছড়াছড়ি, উজার করা হচ্ছে সবুজ বনায়নের শাল গজারি

স্টাফ রিপোর্টার, .
নিউজ প্রকাশের তারিখ :Sep 29, 2025 ইং
ছবির ক্যাপশন: ছবির ক্যাপশন:
ad728

সরকারি কোনো নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে টাঙ্গাইলে গড়ে তোলা হয়েছে শতশত অবৈধ করাতকল। ফলে দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে অবৈধ করাতকলের সংখ্যা। অভিযান ও জেল-জরিমানা করেও ঠেকানো যাচ্ছে না এসব অবৈধ করাতকল। ফলে জেলার বিভিন্ন পাহাড়ি অঞ্চলসহ সংরক্ষিত বনের শাল-গজারি গাছ উজার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। বন বিভাগ ও স্থানীয় প্রশাসন বলছে অবৈধ করাতকল বন্ধে তারা নিয়মিত উচ্ছেদ অভিযান অব্যাহত রেখেছেন। টাঙ্গাইল বন বিভাগ সূত্রে জানা যায় ২০২৩ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত জেলায় অবৈধ লাইসেন্স বিহীন করাতকলের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪৭০ টি। আর বৈধ লাইসেন্স রয়েছে মোট এক শত ৬৩ টি। তবে, জেলা বন বিভাগের হিসাবের বাহিরে বনের ভেতরে আরও শতশত অবৈধ করাতকল গড়ে তুলেছেন অসাধু কাঠ ব্যবসায়ীরা। স’মিল (লাইসেন্স) বিধিমালা-২০১২ অনুযায়ী, সংরক্ষিত বনাঞ্চলের ১২ কিলোমিটারের মধ্যে কোন করাতকলে লাইসেন্স দেওয়া হয় না। কোনো মালিক লাইসেন্স না নিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করতে পারবেন না। আর লাইসেন্স নেওয়ার পর প্রতি বছর তা নবায়ন করতে হবে। কিন্তু তা মানছেন না বেশিরভাগ করাত কল মালিক। আইনের নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে সংরক্ষিত বনাঞ্চলের ভিতরেই গড়ে তুলছে শতশত অবৈধ স’মিল। সরেজমিনে জেলার সখীপুর উপজেলা পৌরসভা, বড়চওনা, মৌলভীপুর, বহেড়াতল, নলুয়া, ঘাটাইল উপজেলার ধলাপাড়া ও সাগরদিঘীসহ বিভিন্ন এলাকায় সংরক্ষিত বনের ভেতরে অবৈধ শতশত করাতকল। এসব করাতকলে রাখা হয়েছে বিভিন্ন প্রজাতের সারি সারি বনের গাছ। সেগুলো প্রকাশেই শ্রমিক ও মালিকরা চিরাই করে স্থানীয়সহ দূর-দূরান্তের ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করে ওই অসাধু চক্র। বৈধ করাতকল মালিকদের অভিযোগ বন রক্ষকদের ম্যানেজ করেই তারা অবৈধভাবে এসব করাতকলের ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে। মাঝে মধ্যে অভিযান করে দু’একটা বন্ধ করলেও কিছুদিন যেতে না যেতেই পুনরায় চালু করে অবৈধ করাতকল মালিকরা।
অবৈধ করাতকল মালিকরা বলছেন, তারা একাধিকবার লাইসেন্সের জন্য আবেদন দিয়েও বন বিভাগসহ ও সংশ্লিষ্টদের সাড়া পাচ্ছেন না। তাই বাধ্য হয়ে লাইসেন্স ছাড়া ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন তারা। 
সখীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল রনী বলেন, অবৈধ করাতকল বন্ধে নিয়মিত উচ্ছেদ অভিযান অব্যাহত রেখেছেন। যারা আবেদন করেছেন তা যাচাই-বাছাই করা হবে। 
সংরক্ষিত বনের ভেতরে অবৈধ করাতকল বন্ধ করা না গেলে এই পাহাড়ি অঞ্চলের শাল-গজারিসহ অন্যান্য বৃক্ষ ধ্বংস হয়ে যাবে। উজার হবে সবুজ বনায়ন, হারাবে প্রকৃতির ভারসাম্য। তাই বন বিভাগ ও প্রশানসনসহ সংশ্লিষ্টদের এসব অবৈধ করাতকল বন্ধে আরও জোরালো পদক্ষেপ ও ভূমিকা নেয়ার দাবি জানিয়েছে সচেতন মহল।



কমেন্ট বক্স

এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ