ছবির ক্যাপশন:  
                            
                            টাঙ্গাইলের মধুপুরে ৩৪ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত মেডিকেল এসিসট্যান্ট ট্রেনিং স্কুল (ম্যাটস) চালুর দাবিতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান করেছে এলাকাবাসী। সোমবার দুপুরে মধুপুর উপজেলার কাইতকাই এলাকায় ম্যাটসের সামনে মধুপুরবাসীর পক্ষে অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আলী এই মানববন্ধনের আয়োজন করেন। চার বছর আগে নির্মি ত এই প্রতিষ্ঠান চালুর দাবিতে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বিভিন্ন শ্রেণিপেশার কয়েকশত লোক অংশ নেন।
মানববন্ধ চলাকালে বক্তব্য দেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমটির সদস্য অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আলী, বিশিষ্ট ব্যবসায়ি মো. আনোয়ার হোসেন, মধুপুর পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল লতিফ পান্না, জয়নাল আবেদীন বাবলু, মধুপুর শিল্প ও বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মিনজুর রহমান নান্নু প্রমূখ।
বক্তারা জানান, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ ও জামালপুর এই তিন জেলার মধ্যবর্তী স্থানে চারবছর আগে মেডিক্যাল এসিসট্যান্ট ট্রেনিং স্কুল (ম্যাটস) স্থাপন করা হয়েছে। এই ম্যাটস চালু না করায় নতুন প্রজন্ম চিকিৎসা সাস্ত্রে জ্ঞান অর্জনের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে । অপরদিকে অবহেলায় পড়ে থাকায় ভবনে মাদকসেবিদের আস্তানায় পরিণত হতে চলছে। বিনষ্ট হচ্ছে নবনির্মিত এই বিশাল বিশাল অট্টালিকা। তারা অনতিবিলম্বে মধুপুরের ম্যাটস চালুর দাবি জানান।
উল্লেখ্য, মধুপুর পৌরশহরের কাইতকাই এলাকায় টাঙ্গাইল-জামালপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশেই পাঁচ একরে ৩৩ কোটি ৭৫ লাখ টাকা ব্যয়ে ম্যাটসের অবকাঠামো নির্মাণ শেষ হয় বিগত ২০২১ সালের এপ্রিল মাসে। চার, পাঁচ ও ছয় তলাবিশিষ্ট পৃথক ছয় ভবনে রয়েছে একাডেমিক ভবন, অধ্যক্ষের বাসস্থান, ছাত্র হোষ্টেল, ছাত্রী হোষ্টেল, শিক্ষক কোয়ার্টার এবং চতুর্থ শ্রেণির কোয়ার্টার। স্বাস্থ্যশিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের তত্বাবধানে ঢাকার মোহাম্মদপুরের নূরানী কনস্ট্রাকশন প্রায় চার বছর আগে অবকাঠামোগত নির্মাণকাজ শেষ করে।
সরকারি ভাবে দীর্ঘদিন ধরে মেডিক্যাল এসিসট্যান্ট পদে জনবল নিয়োগ বন্ধ থাকায় নতুন করে ম্যাটস চালু করা হচ্ছেনা বলে জানান স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা।