২০১৬ সালের ঐতিহাসিক লৌহজং নদী আন্দোলনসহ ঢাকা-টাঙ্গাইল ট্রেন আন্দোলন, বিদ্যুৎ গ্রাহক অধিকার রক্ষা আন্দোলন ও যানজট নিরসনে পূর্ববর্তী সব নাগরিক উদ্যোগের ধারাবাহিকতায় টাঙ্গাইলে নতুন সামাজিক সংগঠন ‘সচেতন নাগরিক ফোরাম টাঙ্গাইল’ আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মপ্রকাশ করেছে। সমাবেশে পূর্বের আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ এবং নতুন প্রজন্মের সামাজিক কর্মীরা একত্রিত হন এবং ভবিষ্যৎ নাগরিক অধিকার ও উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন সাঈদ লুফুল্লা, সাবেক যুগ্ম সচিব, ঢাকা-টাঙ্গাইল ট্রেন আন্দোলনের আহ্বায়ক এবং বিদ্যুৎ গ্রাহক কল্যাণ কমিটির আহ্বায়ক। তিনি বলেন, “সামাজিক আন্দোলন শুধু দাবি জানানো নয়, পরিবর্তনের পথ তৈরি করে দেওয়াই আমাদের লক্ষ্য। টাঙ্গাইলের উন্নয়ন ও অধিকার নিশ্চিতে এই মঞ্চ হবে নাগরিকদের কণ্ঠস্বর।”
অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন আকিবুর রহমান ইকবাল। পরিচিতি পর্ব শেষে উপস্থিত সকলে একত্রে যান লৌহজং নদীর পাড়ে। সেখানে নদী উদ্ধার আন্দোলনের স্মৃতিচারণ করা হয় এবং আগামীর লড়াইয়ের জন্য দৃঢ় প্রতিজ্ঞা প্রকাশ করা হয়।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ২৯ নভেম্বর লৌহজং নদী উদ্ধার আন্দোলনের মাধ্যমে টাঙ্গাইলে সর্ববৃহৎ জনঅংশগ্রহণমূলক আন্দোলনের সূচনা হয়, যা ছিল নাগরিক দাবি ও পরিবেশ রক্ষার ইতিহাসবহুল অধ্যায়। সেই আন্দোলনের প্রভাবেই সম্প্রতি নদী পুনরুদ্ধারে ৪৭ কোটি ৯৫ লাখ টাকা অনুমোদন প্রদান করা হয়েছে বলে জানানো হয়। দ্রুতই নদী খনন, প্রবাহমানতা পুনরুদ্ধার ও প্রয়োজনীয় পাড়বাঁধাই কাজ বাস্তবায়ন হবে বলেও আশা প্রকাশ করা হয় অনুষ্ঠানে।
একত্রিত নাগরিকদের মতে, আজকের দিনটি শুধু সংগঠনের জন্ম নয়, আন্দোলনের নতুন দিগন্তের শুরু। টাঙ্গাইলের নদী, পরিবেশ, নগর সমস্যা ও মানুষের অধিকার নিয়ে ভবিষ্যৎেও শক্তিশালী ভূমিকা রাখবে বলে প্রত্যাশা সকলের।
ছবির ক্যাপশন:
