ঢাকা | 03 November 2025

টাঙ্গাইল-৩ আসনে আজাদের হাতেই ধানের শীষ দেখতে চান ঘাটাইলের মানুষ

ঘাটাইল (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি, .
নিউজ প্রকাশের তারিখ :Oct 20, 2025 ইং
ছবির ক্যাপশন: ছবির ক্যাপশন:
ad728

টাঙ্গাইল-৩ আসনে সাবেক প্রতিমন্ত্রী  হেভিওয়েট প্রার্থী জননেতা লুৎফর রহমান খান আজাদের হাতেই ধানের শীষ দেখতে চান ঘাটাইলের জনগণ।  লুৎফর রহমান খান আজাদ একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক উপদেষ্টা।টাঙ্গাইল-৩ ঘাটাইল আসন থেকে ১৯৯১, ১৯৯৬, ২০০১  সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি থেকে মনোনয়ন পেয়ে টানা চারবার এমপি ও তিনবার মন্ত্রী হয়েসততা ও নিষ্ঠার সাথে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেছেন। এ আসনটি ছিল মূলত আওয়ামীলীগের দখলে । ১৯৭০, ৭৩, ও ৮৬ সালে আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট শামসুর রহমান খান বিজয়ী হন। ১৯৭৯ সালে নির্বাচিত হন বিএনপির প্রার্থী ডা. শওকত আলী ভুইয়া। ১৯৮৮ সালে জাতীয় পার্টির প্রার্থী সাইদুর রহমান খান,২০০৮ সালে আওয়ামীলীগের ডা. মতিউর রহমান নির্বাচিত হন। তিনি ২০১২ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর মৃত্যু বরণ করায় ওই বছর ১৮ নভেম্বর এ আসনটিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে শামসুর রহমানের ভাতিজা আমানুর রহমান খান বিপুল ভোটে নির্বাচিত হন। ২০১৪ সালে বিএনপি নির্বাচনে অংশ না নেওয়াতে  আওয়ামীলীগের দলীয় মনোনয়ন পেয়ে তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। ২০১৮ সালে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন পান এডভোকেট শামসুর রহমানের ভাই ও আমানুর রহমানের বাবা আতাউর রহমান খান এবং বিএনপির দলীয় মনোনয়ন পান সাবেক মন্ত্রী  লুৎফর রহমান খান আজাদ। বিএনপির প্রার্থীকে নির্বাচনে প্রচার- প্রচারণা করতে  দেওয়া হয়নি। নির্বাচনী প্রচার করতে গিয়ে হামিদপুরে সন্ত্রাসী হামলার শিকার হন লুৎফর রহামান খান আজাদ। তার নির্বাচনী বহরে থাকা ৪/৫টি গাড়ি ব্যাপক ভাংচুর ও নেতা-কর্মীদেরকে পিটিয়ে জখম করা হয়। এ ব্যাপারে লুৎফর রহমান খান থানায় গিয়ে পুলিশের নিকট সুবিচার চাইতে গেলে আওয়ামীলীগের সন্ত্রাসী বাহিনিরা তাকে থানায় থেকে বের হতে দেয়নি এবং তাকে অবরুদ্ধ করে রাখে। রাতের নির্বাচনে আওয়ামীগের প্রার্থী নির্বাচিত হয়। সুষ্ঠ নির্বাচন হলে লুৎফর রহামন খান আজাদ ৩০/৩৫ হাজার ভোটে নির্বাচিত হতেন বলে ভোটারদের ধারণা। এবারও ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি বিএনপি’র মনোনয়ন প্রত্যাশী।এ আসনে আজাদ খানের রয়েছে বিএনপির ব্যাপক ভোট ব্যাংক এবং তার নেতৃত্বে বর্তমানেও  বিএনপি ঐক্যবদ্দ । ১৯৯১ সালের পর থেকে তিনি যতবার এমপি হয়েছেন ততবার তিনি মন্ত্রীত্বে পেয়ে এলাকায় ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন। ঘাটাইলের মানুষের জীবন মান উন্নয়নের পাশাপাশি স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, মসজিদ,মন্দির,এতিমখানা, হেফজখানা,হাসপাতাল,দৃষ্টিনন্দন পৌরসভা, ব্রিজ কালভার্ট তৈরি করে একটি আধুনিক ও উন্নত উপজেলা হিসেবে ঘাটাইলকে নিজ হাতে গড়ে তুলেছিলেন। দিনের বেলায় পাহাড়ি জনপদ দিয়ে মানুষ যেখানে হেঁটে যেতে ভয় পেতেন সেই দুর্গম পাহাড়ি অঞ্চলের আনাচে-কানাচে পাকা রাস্তা নির্মাণ করে আধুনিক ঘাটাইলের রূপকার হিসেবে তিনি খেতাব অর্জন করতে সক্ষম হয়েছিলেন।এক কথায় ঘাটাইলে যত উন্নয়ন হয়েছে মূলত তার হাত ধরেই হয়েছে। এবারও তিনি মনোনয়ন পেলে বিপুল ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হবেন বলে সাধারণ ভোটাররা জানান। এ আসনটি ধরে রাখতে  দীর্ঘদিন ধরেই তিনি মাঠঘাট, পাড়া-মহল্লায়  চষে বেড়াচ্ছেন। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের জাতীয়তাবাদী চেতনা ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের ধারণা ও তার আদর্শ পৌঁছে দিচ্ছেন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে। নিয়মিত উঠান বৈঠক ও দলীয় গণ সংযোগের পাশাপাশি দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৩১ দফা বাস্তবায়নে তৃণমূল নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ রাখতে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে চলেছেন। আওয়ামীলীগের দুঃশাসনের বিরুদ্ধে নেতা-কর্মীদের নিয়ে রাজনৈতিক মাঠে সরব ছিলেন তিনি। এ জন্য তিনিসহ  অনেক নেতা-কর্মীরা মামলা –হামলার শিকার হয়েছেন।  দুঃসময়ে দলের নিপীড়িত ও মামলার-হামলার শিকার নেতাকর্মী-সমর্থকদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। তবে রাজনীতির বাইরেও তিনি একজন মানবিক ও পরোপকারী মানুষ হিসেবে সর্বমহলে সমাদৃত।  জাতি ধর্ম বর্ণ ও দল-মত নির্বিশেষে তাকে পুনরায এমপি হিসেবে দেখতে চান- ঘাটাইলের সাধারণ মানুষ।ভোটাররা  মনে করছেন, এবারও দল তাকে মনোনয়ন দিয়ে সঠিক মূল্যায়ন করবে।কেননা লুৎফর রহমান খান আজাদের জনপ্রিয়তা আকাশচুম্বি।তার ধারের কাছে কেউ নেই।ঘাটাইল আসনটি যেহেতু বিএনপির দুর্গ হিসেবে পরিচিত সেহেতু এই আসন থেকে অন্য কাউকে মনোনয়ন দিলে আসনটি হাতছাডা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করছেন সাধারণ ভোটার থেকে শুরু করে তৃণমূল বিএনপির নেতা কর্মীরা।তারা বলছেন লুৎফর রহমান খান আজাদ এমপি ও মন্ত্রী হলেও তার কোনো বাড়ি-গাড়ি, ধন-সম্পদ নেই।তার জীবনের মূল্যবান ৩৭টি বছর দলের জন্য ও ঘাটাইলের মানুষের জন্য উৎসর্গ করেছেন।  তিনি এতটাই সৎ ও বিনয়ী তিনি অত্যন্ত ক্লিন ইমেজের একজন সাদামাটা হাস্যউজ্জল মানুষ।
 তিনি যতবার এমপি ও মন্ত্রী হয়েছেন জাতি, ধমর্, বর্ণ নির্বিশেষে সকল শ্রেণীর মানুষ নিরাপদে বসবাস করেছেন। বিএনপিকে শক্তিশালী করতেও তিনি প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করেছেন।বিদেশে বসবাসরত প্রবাসী বিএনপি নেতাকর্মীরাও তাকে সমর্থন জানাচ্ছেন। প্রবাসীরা মনে করছেন, আজাদের মতো একজন সৎ ও মানবিক নেতাকে মনোনয়ন দিলে দলের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হবে এবং সাধারণ ভোটাররা বিএনপি’র প্রতি আস্থা ফিরে পাবে।আসন্ন নির্বাচনে বিএনপি’র মনোনয়ন বাছাইয়ে আজাদকে এগিয়ে রাখার আরেকটি দিক হলো তার সাংগঠনিক দক্ষতা।তিনি স্থানীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে ঐক্য বজায় রাখতে এবং তাদের সঙ্গে নিয়ে স্বৈরাচার এরশাদ বিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু করে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য এদেশে যতবার আন্দোলন হয়েছে লুৎফর রহমান খান আজাদ সামনে থেকে সকল আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছেন।মানবতা বিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত হাসিনা হটাও ,দেশ বাঁচাও আন্দোলনের অগ্রসৈনিক ছিলেন তিনি।২০১৪ সালের একতরফা নির্বাচনের পর সারাদেশে বিএনপি যখন অসহযোগ আন্দোলনের ডাকদেয় সেই আন্দোলনে লুৎফর রহমান খান আজাদ নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে যে বিরল ভূমিকা পালন করেছেন। তাই ঘাটাইলের মানুষ মনে করেন সার্বিক বিবেচনায় লুৎফর রহমান খান আজাদকে বিএনপি মনোনয়ন দেবে,এবং আবারও তিনি বিপুল ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হয়ে দেশমাতা খালেদা জিয়া ও  তারেক রহমানের হাতকে শক্তিশালী করবেন।  



কমেন্ট বক্স

এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ