ঢাকা | 04 November 2025

মির্জাপুরে কর্মস্থলে না থেকেও বেতন তুলছেন প্রধান শিক্ষক

মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি, .
নিউজ প্রকাশের তারিখ :Oct 26, 2025 ইং
ছবির ক্যাপশন: ফতেহপুর ময়নাল হক উচ্চ বিদ্যালয় , মির্জাপুর,টাংগাইল ছবির ক্যাপশন: ফতেহপুর ময়নাল হক উচ্চ বিদ্যালয় , মির্জাপুর,টাংগাইল
ad728
টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক আত্ম গোপনে থেকে গোপনে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর সহ প্রয়োজনীয় কাগজ স্বাক্ষর করে এক বছরে ধরে কর্মস্থলে অনুপস্থিত থেকেও নিয়মিত বেতন তুলছেন। উপজেলার আনাইতারা ইউনিয়নের ফতেপুর ময়নাল হক উচ্চবিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটেছে।

বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক হলেন এ টি এম মতিন। তিনি গত বছরের ২১ সেপ্টেম্বর সর্বশেষ কর্মস্থলে গিয়েছিলেন বলে বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে। ২০২২ সালের ২২ জুন তিনি প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন।

বিদ্যালয় ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, ২০২৩ সালের শুরুতে দশম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে শিক্ষার্থীরা এ টি এম মতিনের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু হয়। একপর্যায়ে তিনি বিদ্যালয় থেকে গোপনে সটকে পড়েন। প্রায় এক বছর পর তিনি কর্মস্থলে আসেন। যৌন হয়রানির অভিযোগে আবারও গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে আন্দোলন করে শিক্ষার্থীরা। এরপর প্রায় ছয় মাস স্কুলে অনুপস্থিত থাকেন। গত বছরের ৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তনের পর তিনি স্কুলে আসা শুরু করেন। মাত্র দেড় মাসের মাথায়

তাঁর বিরুদ্ধে আবার আন্দোলন শুরু হয়। এতে তিনি গত বছরের ২১ সেপ্টেম্বর থেকে আবারও কর্মস্থলে যাওয়া বন্ধ করে দেন। প্রায় ১৩ মাস ধরে তিনি বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত রয়েছেন। তবে তিনি গোপন স্থান থেকে বিদ্যালয়ের যাবতীয় কাগজপত্রে স্বাক্ষর করেন। প্রতি মাসেই বেতন তোলছেন।

বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা জানান, প্রধান শিক্ষকের বাড়ি কুমিল্লার হোমনায়। থাকেন ঢাকার বাসায়। বেতন-ভাতাসহ অন্যান্য জরুরি কাগজে স্বাক্ষর প্রয়োজন হলে মির্জাপুর উপজেলা সদরের যেকোনো জায়গায় গিয়ে তাঁর স্বাক্ষর নেওয়া হয়।

বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক গৌর চন্দ্র সরকার বলেন, প্রধান শিক্ষক না থাকার কারণে সময়মতো সিদ্ধান্ত নেওয়া যায় না। এতে স্কুলের লেখাপড়া বিঘ্ন হওয়ার পাশাপাশি দৈনন্দিন কাজ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। তিনি যাতে দ্রুত নিয়মিত স্কুলে আসতে পারেন, কর্তৃপক্ষের সে দিকে নজর দেওয়া উচিত।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মুঠোফোনে এ টি এম মতিন বলেন, তিনি যোগদানের পর থেকে চেষ্টা করেছেন ভালো ফলের মাধ্যমে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সুনাম বাড়াতে। এ জন্য তাঁকে কয়েকটি বিষয়ে কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হয়। এ কারণে তিনি চক্রান্তের শিকার হন। এতে নেতৃত্ব দেন নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের এক নেতা।

প্রধান শিক্ষককে নিয়মিত বিদ্যালয়ে উপস্থিত হতে ইতিমধ্যে নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। তাঁকে আবার নোটিশ দেওয়া হবে বলে জানান বিদ্যালয়ের অ্যাডহক কমিটির সভাপতি হাবিবুর রহমান। 
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. জুলফিকার হায়দার বলেন, ওই প্রধান শিক্ষক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যেতে তাঁর সঙ্গে একবার যোগাযোগ করেছিলেন। পরে আর কোনো যোগাযোগ করেননি।




কমেন্ট বক্স

এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ