সখীপুর  প্রতিনিধি
টাঙ্গাইলের সখীপুরে এক গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ সোমবার সকালে ওই গৃহবধূ বাদী হয়ে তিনজনকে আসামি করে সখীপুর থানায় মামলা করেন। পুলিশ উপজেলার দাড়িয়াপুর গ্রামের লিটন মিয়া (৪০) ও একই গ্রামের রফিকুল ইসলামকে (৩৮) গ্রেপ্তার করে। মামলার বাদী ওই গৃহবধূ উপজেলার দেওবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা। তাঁর স্বামী একজন বাক প্রতিবন্ধী। 
পুলিশ ও মামলার বিবরণ সূত্রে জানা গেছে, গত ১১ জুলাই রাতে গৃহবধূর স্বামীর বাড়িতে তাঁর শাশুড়ির সঙ্গে ঝগড়া হয়। পরে ওই রাতেই কাউকে কিছু না বলে গৃহবধূ তাঁর বাবার বাড়িতে যাচ্ছিলেন। বাবার বাড়ি উপজেলার ছিলিমপুরে আসার পথে রাত ৩টার দিকে বড় মৌষা বাজার এলাকায় পৌঁছালে আসামিরা তাঁর গতিরোধ করেন। তাঁকে ফুসলিয়ে বাজারের পরিত্যক্ত একটি ঘরে নিয়ে অভিযুক্ত তিনজন মিলে তাঁকে পালাক্রমে ধর্ষণ করেন। বিষয়টি কাউকে না জানাতেও হুমকি-ধামকি দেন তাঁরা। এ ঘটনায় সোমবার (১৪ জুলাই) সকালে ওই গৃহবধূ বাদী হয়ে তিনজনকে আসামি করে সখীপুর থানায় মামলা করেন। 
তবে গ্রেপ্তার হওয়া রফিকুলের বড়ভাই ও স্থানীয় ইউপি সদস্য কবির হোসেন বলেন, ধর্ষণের অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। কয়েকদিন আগে ওই নারীর চায়ের দোকানদার বোন জামাইয়ের সঙ্গে রফিকুলদের (আসামিদের) কথা কাটাকাটি হয়, ওই ঝগড়ার জের ধরে ঘটনার কয়েকদিন পর ধর্ষণের মিথ্যা মামলা দিয়ে আসামিদের ফাঁসিয়ে দিয়েছে। তিনি আরও বলেন, ধর্ষণের ঘটনা ঘটলে এই কয়েকদিনে অবশ্যই এলাকার লোকজন জানতে পারতো! 
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সখীপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) প্রভাষ কুমার বসু বলেন, এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। গৃহবধূকে ডাক্তারি পরীক্ষা করতে সোমবার টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
সখীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম ভূঞা বলেন, এ ঘটনায় অভিযুক্ত দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করে টাঙ্গাইল আদালতে পাঠানো হয়েছে। অন্য আসামিকেও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।