বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আহমেদ আযম খান বলেছেন, যখন জুলাই সনদে আমরা একাত্তুরের মুক্তিযুদ্ধের কথা বলি, স্বাধীনতার কথা বলি, তখন একটি দল যারা স্বাধীনতার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিল, তাদের বড় খারাপ লাগে। তারা বলে ৫ আগস্ট নাকি দ্বিতীয় স্বাধীনতা হয়েছে। তারা মুক্তিযুদ্ধকে ভয় পায়। মুক্তিযুদ্ধকে ও একাত্তুরকে স্বীকার করে নিতে চায় না।
স্পষ্ট করে বলতে চাই- একাত্তুর, মুক্তিযুদ্ধ ও লাল-সবুজের পতাকা হলো আমাদের পরিচয়। কোনো দ্বিতীয় স্বাধীনতা ৫ আগস্ট হয় নাই। ওইটা ছিলো ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান। আমরা গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্যে স্বৈরশাসক এরশাদের বিরুদ্ধে ওই রকম অভ্যুত্থান ৯০ সালেও করেছিলাম।
আজ বুধবার বিকেলে টাঙ্গাইলের সখীপুর তালতলা চত্বরে স্বেচ্ছাসেবক দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত শোভাযাত্রা শেষে এক পথসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
অ্যাডভোকেট আহমেদ আযম খান বলেন, স্বাধীনতাকে নিয়ে যারা ছিনিমিনি খেলেন, তারা যেনো বাংলাদেশের জনগণের কাছে ভোট চাইতে না আসেন, ভোট পাবেন না। স্বাধীনতাকে স্বীকার করে নিতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের সময় বিরোধিতা করেছেন, জাতির কাছে ক্ষমা চেয়ে তারপর জনগণের কাছে ভোট চাইতে হবে। স্বাধীনতা একাত্তুরে এসেছিল রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মধ্য দিয়ে। আর কোনোদিন দ্বিতীয় স্বাধীনতা আসবে না।
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে বিএনপির এ ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, একটি দল নির্বাচনে পিআর পদ্ধতির কথা বলছে। আবার তারা ৩০০ আসনে নমিনেসন দিয়ে প্রচারে নেমে গেছেন। জাতির সঙ্গে এ রকম প্রতারণা ও মোনাফেকি জাতি প্রত্যাশা করে না। যারা বলছে পিআর চাই, তারা পিআর সম্পর্কে কিছুই জানে না। একদিকে বলছে পিআর চাই, অন্যদিকে ৩০০ আসনে নমিনেশন দিয়ে মাঠে নেমে গেছে। অর্থাৎ তাদের রাজনীতি স্ববিরোধী এবং মুনাফিকীর রাজনীতি।
পথসভায় উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক সেবক দলের আহ্বায়ক মো. শহীদ মিয়ার সভাপতিত্বে উপজেলা বিএনপির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহজাহান সাজু, সাবেক সভাপতি খোরশেদ আলম, সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল বাছেদসহ উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দল, বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের সহস্রাবিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।