মায়ের দুধ হচ্ছে প্রতিটি শিশুর সর্বোৎকৃষ্ট খাবার। মায়ের বুকের শাল দুধ হলো রোগের প্রতিশেধক। শিশুর রোগ প্রতিরোধ ও প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাসহ মায়ের দ্রুত আরোগ্য লাভের ক্ষেত্রে মায়ের বুকের দুধের বিকল্প নেই। টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. সাইদুর রহমান মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহের উদ্বোধনী দিবসের আলোচনা সভায় একথা বলেন।
সোমবার সকালে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় তিনি আরও বলেন, মায়ের দুধে পর্যাপ্ত পরিমাণে আমিষ, শর্করা, স্নেহ ও ভিটামিন রয়েছে। ৬ মাস পর্যন্ত মায়ের দুধ পান করানো হলে শিশু তাড়াতাড়ি বেড়ে ওঠে। বিভিন্ন অসুখ-বিসুখ থেকে রক্ষা পায়। এমনকি ডায়রিয়া বা পানি বাহিত রোগ দেখা দিলেও কোন অবস্থাতেই মায়ের বুকের দুধ খাওয়ানো বন্ধ করা যাবে না। মায়ের বুকের দুধ পান না করানোর ফলে শিশুর মানসিক বিকাশ ও শারীরিক গঠনের জন্য শিশুদের উপর ব্যাপক প্রভাব ফেলে।
সভায় প্রজেক্টরের মাধ্যমে বিস্তারিত আলোচনা করেন আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা সজীব কান্তি পাল। অন্যান্যের মধ্যে একাডেমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মহিউদ্দিনসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, চিকিৎসক, স্বাস্থ্য পরিদর্শক, গণমাধ্যমকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা সজীব কান্তি পাল জানান, যে সব শিশুরা মায়ের বুকের দুধ পান করার সুযোগ পায় নি তাদের অধিকাংশই পুষ্টিহীনতায় ভূগে। শিশু প্রতিবন্ধিতার শিকারও হয়। পড়া-শুনায় অমনযোগীও হয়ে থাকে। এখনও অনেকে শাল দুধ ফেলে দেয়। কিন্তু এটা মোটেও উচিত নয়। শাল দুধ শিশুর জন্য খুবই উপকারী। মায়ের দুধ শিশুর জন্য যেমন নিরাপদ, পরিষ্কার-পরিছন্ন, স্বাস্থ্যসম্মত, সহজেপ্রাপ্য তেমনি শিশু অন্যান্য সকল পুষ্টিকর ও দামী খাবারের চেয়ে সহজে হজম করতে পারে। মায়ের বুকের দুধে থাকে প্রয়োজনী তাপমাত্রা। যার দরুণ শিশুর দাত ও দাতের মাড়ি গঠনে খুবই প্রয়োজন।