ঢাকা | 12 September 2025

টাঙ্গাইল-১ (মধুপুর-ধনবাড়ী) আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশী লে. কর্ণেল আসাদকে বিএনপি থেকে বহিষ্কার

স্টাফ রিপোর্টার, .
নিউজ প্রকাশের তারিখ :Sep 12, 2025 ইং
ছবির ক্যাপশন: ছবির ক্যাপশন:
ad728
টাঙ্গাইল-১ (মধুপুর-ধনবাড়ী) আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী লে. কর্ণেল (অব:) মো. আসাদুল ইসলাম ওরফে কর্ণেল আজাদকে বিএনপির প্রাথমিক সদস্য পদ থেকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হয়েছে। শুক্রবার (১১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির সভাপতি হাসানুজ্জামিল শাহিন ও সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ ইকবাল যৌথ স্বাক্ষরে এই বহিষ্কারাদেশ জারি করেন। ওই বহিষ্কারাদেশে তার বিরুদ্ধে ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের ডামি নির্বাচনে নৌকা মার্কার প্রচারণায় অংশ নেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে। এছাড়াও আয়নাঘরের মাস্টারমাইন্ড ও হাজারো গুম খুনের মহানায়ক বরখাস্ত মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসানের ব্যবসায়িক অংশীদারের সুস্পষ্ট প্রমাণ থাকা এবং দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ আনা হয়েছে। জানা যায়, টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার মির্জাবাড়ী ইউনিয়নের ফাজিলপুর গ্রামের বাসিন্দা মো. আসাদুল ইসলাম ওরফে কর্ণেল আজাদ। তিনি সেনাবাহিনী থেকে স্বেচ্ছায় লে. কর্ণেল পদের চাকুরি থেকে অবসর নিয়ে ব্যবসার পাশাপাশি রাজনীতিতে যুক্ত হন। এলাকায় এসেই তিনি দানবীর হিসেবে আভির্ভূত হন। গ্রামের সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে দলীয় বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মী ও মানুষকে তার অনুসারি করতে দুই হাতে অর্থ বিলানো শুরু করেন। গরীব-দুঃখী মানুষদের শাড়ীকাপড় থেকে শুরু করে বিভিন্ন সামাজিক প্রতিষ্ঠানে দান করতে শুরু করেন। বিভিন্ন সামাজিক কর্মসুচিতে অঢেল টাকা দিয়ে তার ভক্ত তৈরি করেন। বর্তমানে তিনি তার কর্মসুচিতে হাজার হাজার লোকের সমাগম ঘটিয়ে থাকেন। গ্রামের সাধারণ কর্মসুচিতেও মধুপুর ও পাশর্^বর্তী উপজেলা এবং জেলা শহর থেকে কয়েকডজন গণমাধ্যমকর্মী ও ইউটিউবার এনে সংবাদ প্রচার করে সকলে দৃষ্টি কাড়েন। সম্প্রতি তার বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কিছু নথিপত্র প্রচারিত হয়। নথিপত্র অনুসারে আয়নাঘরের মাস্টারমাইন্ড মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসান ও তার স্ত্রীর ব্যবসায়িক অংশীদার হিসেবে অবসরপ্রাপ্ত লে. কর্ণেল মো. আসাদুল ইসলাম আজাদকে উপস্থাপন করা হয়। তাদের যৌথ স্বাক্ষরে অর্থ লেনদেনের প্রমাণও উপস্থাপন করা হয়। টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট ফরহাদ ইকবাল জানান, আসাদুল ইসলামের বিরুদ্ধে বেশ কিছুদিন ধরেই নানা ধরণের অভিযোগ আসছিল। ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের ডামি নির্বাচনে ঢাকার প্রচারাভিযানে অংশ নেওয়া এবং মধুপুরে জনৈক প্রার্থীকে আর্থিক সহযোগিতার অভিযোগ উঠে। এছাড়া আয়নাঘরের মাস্টার মাইন্ড জিয়াউল আহসানের সাথে মিলে মিশে আসাদুল ইসলাম ব্যবসা করেন বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। এই বিষয়গুলো দফায় দফায় তদন্ত করে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় দলের শীর্ষনেতাদের সাথে পরামর্শ করে লে. কর্ণেল (অব:) মো. আসাদুল ইসলাম ওরফে কর্ণেল আজাদকে বিএনপির প্রাথমিক সদস্য পদ থেকে স্থায়িভাবে বহিষ্কার করা হয় এ ব্যাপারে লে. কর্ণেল (অব:) মো. আসাদুল ইসলাম ওরফে কর্ণেল আজাদ এবং তার ভাই মাসুদ এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করে পাওয়া যায়নি।


কমেন্ট বক্স

এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ