কেন্দ্রীয় মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সদস্য সচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা সাদেক আহমেদ খান মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স না বুঝিয়ে দেয়া ইউএনওদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘আপনারা অনেক খেয়েছেন। আর জিব বড় করবেন না। মুক্তিযোদ্ধাদের সম্পদ বুঝিয়ে দিন।’
শনিবার বিকেলে মির্জাপুরে মুক্তিযোদ্ধাদের পরিচিতি ও মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সাদের আহমেদ খান বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসা সহায়তার জন্য আগে যেখানে চিকিৎসার জন্য ২ লাখ দেয়া হতো এখন সেখানে ৫ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হচ্ছে।
মির্জাপুর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের উদ্যোগে এ অনুষ্ঠান হয়। এতে মির্জাপুর উপজেলা, মির্জাপুর পৌরসভা ও ১৪টি ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা সংসদের নবগঠিত কমিটির সদস্যরা অংশ নেন।
উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের আহবায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. তাজ উদ্দিন সিকদারের সভাপতিত্বে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এ অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে টাঙ্গাইল জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের আহবায়ক আব্দুল খালেক মন্ডল, সদস্য সচিব শেখ মো. হাবিবুর রহমান ও মির্জাপুরের সদস্য সচিব মীর ফজলুল হক প্রমুখ বক্তৃতা করেন।
বীর মুক্তিযোদ্ধা সাদেক আহমেদ খান বলেন, সারাদেশে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ৬৩৪টি ভবন আছে। যার প্রত্যেকটা ভবনে আয়ের উৎস আছে। কিন্তু এই সম্পদ দীর্ঘদিন ধরে লুটেরাদের হাতে পড়েছিল। তাদের হাত থেকে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিল অবমুক্ত করতে উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম বীর প্রতিকসহ আমাদের ১০ মাস সময় লেগেছে। বিভিন্ন জেলায় চিঠি দেয়ার পরও অনেকে এখন পর্যন্ত কমপ্লেক্সের চাবি বুঝিয়ে দেয়নি। যে সমস্ত ডিসিরা ভাল তাঁরা সহজেই চাবি হস্তান্তর করেছে। আর যারা চিহ্নিত অপরাধী, যারা লুটপাট করে গত ১৭ বছর খেয়েছে, কোন হিসাব দিতে পারে না তাঁরাই সব বুঝিয়ে দিতে বিলম্ব করছেন। এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বীর মুক্তিযোদ্ধা সাদেক আহমেদ খানকে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের পক্ষ থেকে ক্রেস্ট দিয়ে বরণ করা হয।