ছবির ক্যাপশন:  
                            
                            যমুনা নদীর ওপর নির্মিত রেলওয়ে সেতুর কয়েকটি পিলারে ‘ফাটলের’ ছবি বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। তবে এগুলো স্থাপনার জন্য ‘ক্ষতিকর নয়’ বলে দাবি করেছেন যমুনা রেলসেতু কর্তৃপক্ষ। তারা বলছেন, এগুলো ফাটল নয় বরং প্রচণ্ড গরমের কারণে সৃষ্ট ‘হেয়ারক্র্যাক’ বা চুল আকৃতির ফাটল।যমুনা রেলওয়ে সেতু প্রকল্পের সহকারী প্রকৌশলী নাইমুল হক শুক্রবার সকালে বলেছেন, রেলসেতুর পশ্চিম প্রান্তের আট-দশটি পিলারের নিচের অংশে কিছু জায়গায় চুল আকৃতির ফাঁকা বা হেয়ারক্র্যাক দৃশ্যমান হয়েছে। যা ঘষে রেজিন বা আঠার প্রলেপ দিয়ে মেরামতের প্রক্রিয়া চলছে।তিনি আরও বলেন, এটি নির্মাণকাজের কোনো ক্রটি নয়, আবার হানিকম্ব হয়েছে সেটাও নয়। মূলত প্রচণ্ড গরম বা বৈরী আবহাওয়ায় সেতুর পিলারে শূন্য দশমিক ১ থেকে ৩ মিলিমিটার পর্যন্ত ক্ষুদ্র আকৃতির ক্র্যাক বা চুল আকৃতির ফাঁকা সৃষ্টি হয়েছে। যা মোটেও সেতুর কংক্রিটের অবকাঠামো বা স্থাপনার জন্য ক্ষতিকর নয়। এতে ট্রেন চলাচলে কোনো প্রভাব পড়বে না। তিনি বলেন, ফেসবুকে কেউ অসৎ উদ্দেশ্যে চুল আকৃতির ফাঁকা স্থানগুলো আরও বড় দেখিয়ে ছবিগুলো পোস্ট করে জনমনে আতঙ্ক ছড়ানোর চেষ্টা করছে। এর আগে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে একাধিক ফেসবুক পেজে যমুনা রেলসেতুর পিলারের ফাটলের ছবি ছড়িয়ে পড়ে।দেশের দীর্ঘতম প্রথম ডাবল ট্র্যাকের ডুয়েল গেজের এই রেলসেতু আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয় চলতি বছরের ১৮ মার্চ। এতে রেলপথের সম্ভাবনাময় অগ্রযাত্রার এক নতুন দ্বার উন্মোচন হয়। ২০২০ সালের ২৯ নভেম্বর ৪ দশমিক ৮ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে এ সেতুর নির্মাণকাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়। এরপর ২০২১ সালের মার্চে সেতুর পিলার নির্মাণের জন্য পাইলিংয়ের কাজ শুরু হয়। সেতুটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ১৬ হাজার ৭৮০ দশমিক ৯৬ কোটি টাকা। যার ৭২ দশমিক ৪ শতাংশ ঋণ হিসাবে দিয়েছে জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা (জাইকা) এবং বাকি অর্থ দিয়েছে সরকার। জাপানের ওটিজি এবং আইএইচআই যৌথভাবে সেতুটি নির্মাণ করেছে।