স্বাধীনতার ৫৩ বছর পেরিয়ে গেলেও টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার স্বল্পমহেড়া-জামুর্কী সড়কের মাত্র দুই কিলোমিটার অংশ পাকাকরণ হয়নি। এই বেহাল কাঁচা সড়কের কারণে মির্জাপুর, বাসাইল ও দেলদুয়ার উপজেলার লক্ষাধিক মানুষ চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে যাতায়াতকারীদের ভোগান্তি বেড়ে যায় কয়েকগুণ।
জানা যায়, ব্রিটিশ শাসনামলে নির্মিত এই সড়কটি মহেড়া জমিদার বাড়ির (বর্তমানে পুলিশ ট্রেনিং সেন্টার-পিটিসি) সঙ্গে মির্জাপুর, বাসাইল ও দেলদুয়ার উপজেলার যোগাযোগ রক্ষার একমাত্র পথ। পিটিসি ১৮৯০ এর দশকে প্রতিষ্ঠিত মহেড়া জমিদার বাড়িতে ১৯৭২ সাল থেকে চালু আছে। কিন্তু ব্রিটিশ আমলের পর বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার দীর্ঘ ৫৩ বছরেও এই সড়কটিতে উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এই সড়কটি শুধু স্থানীয় বাসিন্দাদেরই নয়, মহেড়া জমিদার বাড়ি দেখতে আসা সারাদেশের শত শত দর্শনার্থীর যাতায়াতের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। সড়কের বেহাল দশার কারণে স্থানীয় ও দর্শনার্থীরা প্রায় পাঁচ কিলোমিটার ঘুরে পিকনিক স্পটে আসতে বাধ্য হন। তাছাড়া, কড়াইল, ভাতকুড়া, ছাওলিমহেড়া, আদাবাড়ি, জামুর্কী, গনুটিয়া, সাঁটিয়াচড়াসহ প্রায় ১০-১২টি গ্রামের মানুষের যাতায়াতের প্রধান পথ এটি। এই সড়কের পাশে বেশ কয়েকটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাদ্রাসা ও উচ্চ বিদ্যালয় অবস্থিত। এলাকাবাসীর অভিযোগ, প্রতিবার সরকার পরিবর্তন হলেও স্থানীয় নেতারা শুধু প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, কিন্তু কোনো সরকারের আমলেই সড়কটির উন্নয়ন কাজ হয়নি।
জামুর্কী নবাব স্যার আব্দুল গণি বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাদেক আলী মিয়া বলেন, আমি জন্ম থেকে দেখছি এই সড়কটির কোনো উন্নয়ন নেই। আশপাশের গ্রামসহ তিন থানার লোক এ রাস্তায় চলাচল করে। শিশুদের লেখাপড়া, কৃষিকাজ, ফসল আনা-নেওয়া, গ্রাম থেকে শহরে যাতায়াতে নানা ভাবে ভোগান্তিতে পড়তে হয়। একটু বৃষ্টিতে হাঁটু পরিমাণ কাঁদা মাড়িয়ে চলতে হয় মানুষকে। কাঁচা সড়কের বেহাল অবস্থার কারণে শিক্ষার্থীদের স্কুলে আসতে নানা সমস্যা হয়। দেখার কি কেউ নেই।