ঢাকা | 12 September 2025

বিদ্যা আবরনে : শিক্ষা আচরনে

Deleted, Deleted
নিউজ প্রকাশের তারিখ :Jul 31, 2025 ইং
ছবির ক্যাপশন: ছবির ক্যাপশন:
ad728

কামরুলহাসান: বাঙলা সাহিত্যে নোবেলপুরস্কার প্রাপ্ত একমাত্র বাঙালি, কবি গুরুরবীন্দ্র নাথ ঠাকুরের একটি বিখ্যাত উক্তি-‘বিদ্যা আবরনে আর শিক্ষা আচরনে।’ অর্থাৎ, কবি এ উক্তিতে বিদ্যা আর শিক্ষার বহি:প্রকাশ মাধ্যম সম্পর্কে বুঝিয়েছেন। আরেকটি কথা আছে, স্ব-শিক্ষতমানেই সু-শিক্ষিত। তাই বিদ্যা তথা শিক্ষা অর্জনের গুরুত্ব অনেক। কিন্তু জ্ঞানবিষয়টির ব্যাপকতা অনেক গভীরে। কারন, জ্ঞানই শক্তি। জ্ঞান অর্জনের ক্ষেত্রে কতিপয় কলা-কৌশল রয়েছে। এ বিষয়ে গ্রীসের বিখ্যাত দার্শনিক সক্রেটিস একটি সিক্রেট মন্ত্র বাতলিয়ে গেছেন। আর তা হলো-বলবে কম, শুনবে বেশি।আর জানার জন্য বেশি বেশি প্রশ্ন করবে। মানে- প্রশ্নের মাধ্যমে সমস্যার সমাধান খোঁজে বের করবে। এই তো সে দিন ৩০ জুলাই
পেশাগত কাজে জামালপুর সদর উপজেলার রশিদপুর আর  শ্রীপুর ইউনিয়নের  কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ স্থানেগিয়েছিলাম। দড়িপাড়া রামকৃষ্ণপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে গিয়ে প্রধান শিক্ষক কে না পেয়ে সহকারী প্রধান শিক্ষক  মনিরুজ্জামানের সাথে কথাহয়। এবারের এসএসসি’র ফলাফল  বিষয়ক তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করেন তিনি। তিনি জানান, এবার মোট ৭২ জনশিক্ষার্থী এসএসসি’র রেজি: ও ফরম পূরণ করে। তবে পরীক্ষায় অংশ নেয় ৭১ জন। তন্মধ্যে পাস করে ২৭ জন। আর ফেল করে ৪৪ জন। পাশের হার শতকরা ৩৮.০২ ভাগ। আবার ফেলের হার শতকরা ৬১.৯৭ ভাগ। অর্থাৎপাসের চেয়ে ফেলের হার দ্বিগুণ প্রায়। ফলাফল নিম্নগামী হওয়ায় পেছনে তিনি কয়েকটি বিষয় তুলে ধরেন। যেমন-শিক্ষার্থীদের ঠিকমত পড়াতে পারেননি, শিক্ষার্থীরা অমনোযোগী, পুরান আর নতুন সিলেবাস, শিক্ষার্থীদের অস্থিরতা, মোবাইলে আসক্তি ও অভিভাবকদের উদাসীনতা। এ মানুষগড়ার কারিগর কোন সত্য গোপন না করে সোজা সঠিক ও সত্য তথ্যই দেন। প্রতিষ্ঠানের ফলাফল নিম্নগামী হওয়ায় তা প্রকাশে অনিহা প্রকাশ করি। এত তিনি যা সত্য তা প্রকাশে বাধা নেইবলে মন্তব্য  করে বসেন। এমনকি তিনি যা সঠিক ও সত্য, সে তথ্যই প্রকাশেরঅনুরোধ করেন। তার সততার কাছে হেরে গিয়ে পুরস্কার স্বরূপ দুইবার ধন্যবাদ জ্ঞাপন করি। কিন্তু এ বিষয়টিসহজভাবে মেনে নেন নি সহকারী শিক্ষক (সমাজ) ফরিদ ছার। ধন্যবাদ জ্ঞাপন বিষয়টিকে অবজ্ঞাসূচক  ভেবে এ প্রতিবেদক তথা লেখককে  একহাত দেখে নেন তিনি। যেমন, আপনি কে? আপনি কি কোন পরিদর্শক? আপনি সাংবাদিক হলে কোন পত্রিকার সাংবাদিক?আপনার  সার্টিফিকেট  দেখান!ইত্যাদি সহ আরো অনেক প্রশ্ন বাণে জর্জিত করেন। সাধ্যমত জবাব দিলেও তিনি নাছুড়বান্দার মত  সার্টিফিকেট দেখাতেই বলছেন। সেই সাথে অসৌজন্যমূলক  আচরনও করেন তিনি। শেষে প্রধানশিক্ষক ছাবেদ আলীকে ফোনে ঘটনা খুলে বললে শুনে তিনি হেসে দেন। সেই সাথে মন্তব্য করেন, এখানে সাংবাদিকের সাথে এতো প্রশ্ন আর কৈফিয়ৎ কিসের! অতএব, ‘বিদ্যা আবরনে আর শিক্ষা আচরনে। ’(লেখক: কামরুলহাসান, ০১৯১৪-৭৩৫৮৪২#ডিরেক্টর-বাংলাদেশ সেন্ট্রাল প্রেসক্লাব, ঢাকা @ সাংবাদিক, মানবাধিকারকর্মী, কলাম-ফিচার লেখকএবংসাবেকশিক্ষক ও এনজিওকর্মকর্তা)






কমেন্ট বক্স

এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ