ছবির ক্যাপশন:
গবেষণায় দেখা গেছে, বিশ্বের গড় উষ্ণতার তুলনায় দ্বিগুণ গতিতে উষ্ণ হচ্ছে দক্ষিণ কোরিয়ার সমুদ্র। ১৯৬৮ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে দেশটির সমুদ্রপৃষ্ঠের গড় তাপমাত্রা বেড়েছে ১ দশমিক ৫৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যেখানে বৈশ্বিক গড় বৃদ্ধি দশমিক ৭৪ ডিগ্রি। উষ্ণ পানিতে আরো প্রবল হচ্ছে ঘূর্ণিঝড় ও ঝোড়ো হাওয়া।
এছাড়া অনেক মাছের প্রজাতি স্থানান্তরিত হওয়ায় জেলেদের সমুদ্রের গভীরে ঝুঁকিপূর্ণ সমুদ্রযাত্রা করতে হচ্ছে। ঝড়ের সতর্কতা পেলেও সবসময় এতদূর থেকে ফিরে আসা সম্ভব হয় না।
জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার পূর্বাভাস অনুযায়ী, কার্বন নিঃসরণ ও বৈশ্বিক উষ্ণায়ন চলতে থাকলে চলতি শতকের শেষে দক্ষিণ কোরিয়ার মোট মাছ আহরণ প্রায় এক-তৃতীয়াংশ কমে যাবে।
দক্ষিণ কোরিয়ার গবেষণা অনুযায়ী, দেশটিতে গত ১০ বছরে স্কুইড আহরণ ৯২ শতাংশ কমেছে, আর অ্যাঙ্কোভি মাছের আহরণ কমেছে ৪৬ শতাংশ। ফলে আয় কমে জেলেদের জীবন-জীবীকাও সংকটাপন্ন হয়ে পড়েছে।
সংকট নিরসনে নিরাপত্তা উদ্যোগ গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটির সরকার। মাছ ধরা নৌকাগুলোয় নিরাপত্তা সিঁড়ি বসানো, লাইফ জ্যাকেট বাধ্যতামূলক করা, বিদেশী কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেয়ার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। এছাড়া রিয়েল-টাইম আবহাওয়া সতর্কতা, অর্থনৈতিক সহায়তা ও অবসর সুবিধাও দেয়া হচ্ছে।