ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলা পরিষদ চত্বরে রোববার (২৪ আগস্ট/২৫) সহনাটী ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ১নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর আলম লিটন (৪৭) কে মারধর ও পরনের জামকাপড় ছিঁড়ে ফেলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় তিনি গৌরীপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগে সহনাটী ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুরুল হক মঞ্জু বেপারী ও সহনাটী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হারুন খানের নাম উল্লেখ ছাড়াও অজ্ঞাতনামা ২০জনকে আসামী করা হয়।
অভিযোগ প্রাপ্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন গৌরীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. দিদারুল ইসলাম। তিনি জানান, দরখাস্ত পেয়েছি, পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
এ প্রসঙ্গে মঞ্জুরুল হক মঞ্জু জানান, উপজেলা পরিষদ চত্বরে লিটন মেম্বারকে মারধর করছে দেখে আমি ফেরাতে গিয়েছি। কে তাকে মারধর করেছে তাকে আমি চিনি না। এ হামলার সময় আমি সেখানে ছিলাম না। ইউপি মেম্বার হারুন খান বলেন, আমি তো তখন উপজেলা পরিষদে ছিলাম না। সে সময় আমি রেল স্টেশনে ছিলাম।
সহনাটী ইউনিয়নের ভালুকাপুর গ্রামের মৃত আব্বাস আলীর পুত্র জাহাঙ্গীর আলম লিটন জানান, সহনাটী ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান নিয়ে দ্বন্দ্ব রয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী এ ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান গঠিত হয়নি। আমি শোনেছি, এ ইউনিয়ন নতুন প্রশাসক দেয়া হবে। এ বিষয়টি জানার জন্য রোববার (২৪ আগস্ট/২৫) বিকালে ৪টা ২০মিনিটের দিকে উপজেলা পরিষদ চত্বরে যাওয়ার পরে পরিকল্পিতভাবে আমাকে কিল, ঘুসি, লাথি মারতে থাকে। এক পর্যায়ে আমার শরীরের জামাকাপড়ও ছিঁড়ে ফেলে। ঘুষিতে মুখের ঠোঁটে কাটা জখম হয়। তাকে উদ্ধার করে গৌরীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে চিকিৎসা করা হয়।###