একদিকে স্বপন ফকির। অন্যদিকে মোহাম্মদ আলী। একজন ব্যবসায়ি। অন্যজন আইনজীবী। উভয়েই বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির কার্যনির্বাহী সদস্য। দল ও নেতা-কর্মীদের জন্য ত্যাগ কারও চেয়ে কারও কম নয়। মনোনয়ন পাওয়ার প্রতিযোগিতায় জিয়ার এই দুই সৈনিক ছিলেন দুই মঞ্চে। বছরজুড়ে পাল্টা পাল্টি সমাবেশ বিক্ষোভ মিছিল করেছেন তারা। জনশক্তি দেখানোর প্রতিযোগিতায় ধানের শীষের কর্মীদের সবাইকে রাজনীতির মাঠে নামিয়েছেন তাদের প্রয়োজনে। উঠান বৈঠক থেকে সভামঞ্চ পর্যন্ত ছিল পাল্টাপাল্টি বিষদগার। এসবের অবসান ঘটাতে হঠাৎ করেই স্বপন ফকির হাজির হলেন মোহাম্মদ আলীর নির্বাচনী কার্যালয়ে। উভয়গ্রুপের নেতাদের ডেকে এনে ডাক দিলেন ঐক্যের ডাক। ২৩ অক্টোবর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা রাতে ব্যতিক্রম এই উদ্যোগের প্রশংসা ছড়িয়ে পড়ে চারদিকে। এ সময় মধুপুর বাসস্ট্যান্ডের ময়মনসিংহ রোডে মোহম্মদ আলীর কার্যালয়ে ফকির মাহবুব আনাম স্বপনের সাথে হাজির হন উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. জাকির হোসেন সরকার, সাধারণ সম্পাদক মো. নাসির উদ্দিন, বিএনপির সাবেক নেতা মো. আনোয়ার হোসেন, আব্দুল লতিফ পান্না, পৌর বিএনপির সভাপতি খুররম খান ইউসুফজী প্রিন্স, যুবদল নেতা আব্দুল মান্নান, বিএনপি নেতা জয়নাল আবেদীন বাবলুসহ শতশত নেতাকর্মী। এ সময় তারা বিএনপির ধানের শীষের পক্ষে শ্লোগান দেন। আমরা সবাই ভাই ভাই ধানের শীষে ভোট চাই শ্লোগানে মুখরিত করে তুলেন পুরো অঙ্গন।
ফকির মাহবুব আনাম ওরফে স্বপন ফকির ২০০১ সাল থেকে মধুপুর ধনবাড়ীর মানুষের জন্য কাজ করে চলেছেন। বিএনপির নেতাকর্মীদের বিপদ-আপদে পাশে দাড়িয়েছেন তিনি। তার এমন উদ্যোগ রাজনৈতিক মঞ্চে বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করলো বলে মনে করছেন মধুপুর-ধনবাড়ীসহ পুরো জেলার রাজনৈতিক-অরাজনৈতিক ব্যক্তিরা।
২০০৬ সালের কথা। মধুপুরে আওয়ামীলীগের সন্ত্রাসীরা অস্ত্র নিয়ে বিএনপির মিছিলে হামলা চালায়। এ সময় আমিসহ মধুপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র সরকার সহিদ, জুলহাস উদ্দিনসহ ১২/১৩জন গুরুতর আহত হন। খবর পেয়ে আধঘন্টার মধ্যেই হেলিকপ্টার নিয়ে ঢাকা থেকে মধুপুর এসে নেতাকর্মীদের পাশে দাড়ান স্বপন ফকির। এভাবে বহুবার বিএনপি ও সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মীদের পাশাপাশি মধুপুর ধনবাড়ী মানুষের পাশে থেকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে যাচ্ছেন ফকির মাহবুব আনাম স্বপন। যিনি বিএনপির কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য। যাকে ২০০১ সালে বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া নিজে মধুপুর ধনবাড়ীরর উন্নয়নের দায়িত্ব দিয়ে টাঙ্গাইল-১ আসনে মনোনয়ন দেন। কথাগুলো বলছিলেন পূজা উদযাপন ফ্রন্টের সভাপতি বিকাশ চন্দ্র ঘোষ।
অনুসন্ধানে দেখা গেছে ফকির মাহবুব আনাম স্বপন ২০০১ সালে বিজীত হলেও মধুপুর-ধনবাড়ীবাসীর উন্নয়নে নিজেকে বিলিয়ে দিয়েছেন। তিনি এমপি না হয়েও ধনবাড়ীকে উপজেলায় উন্নীত করেছেন। ধনবাড়ীর বাসিন্দারা জানান, নির্বাচনের পরপরই ফকির মাহবুব আনাম স্বপন ধনবাড়ীকে উপজেলায় উন্নীত করার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেন। ওই সময় তিনি আবেদন লিখে নিজে স্বাক্ষর করার পাশাপাশি ধনবাড়ী ডিগ্রী কলেজ, আসিয়া হাসান আলী মহিলা কলেজসহ কয়েকটি কলেজের অধ্যক্ষ, ধনবাড়ীর বিভিন্ন বিদ্যালয়ের প্রধানগণের স্বাক্ষরসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের স্বাক্ষর নিয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের বরাবরে আবেদন জমা দেন। ধনবাড়ী উপজেলা প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনে মুশুদ্দি ইউনিয়নকে ভেঙে বলিভদ্র ও বীরতারা ইউনিয়নকে ভেঙে বানিয়াজান ইউনিয়ন প্রতিষ্ঠান করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে তৎকালীন মুশুদ্দি ও বীরতারা ইউনিয়নের চেয়ারম্যানরা স্বপন ফকিরের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছিলেন। এমন বাধা মাথায় নিয়েও তিনি ধনবাড়ীবাসীর শত বছরের প্রাণের দাবি পূরণের জন্য ধনবাড়ীকে উপজেলায় উন্নীত করার ফাইলের সাথে আঠার মতো লেগে থেকে বারবার প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে অনুরোধ করে ধনবাড়ীকে উপজেলায় উন্নীত করেন। স্বপন ফকিরের অক্লান্ত পরিশ্রমে ২০০৬ সালের ৪ঠা সেপ্টেম্বর ধনবাড়ীতে লক্ষাধিক জনগণের উপস্থিতিতে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ধনবাড়ী উপজেলার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। ওই বছরই আগস্টের ২৭ তারিখ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করে দাপ্তরিক কার্যক্রম শুরু করেন মো. হামিদুল হক। তিনিই হলেন ধনবাড়ী উপজেলার প্রথম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। এরপর থেকেই ধারাবাহিকভাবে ধনবাড়ী উপজেলার ক্রমোন্নতি শুরু হয়।
বিএনপির কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ফকির মাহবুব আনাম স্বপন সরকারের বিভিন্ন মহলে তদবির করে নানা প্রকল্প অনুমোদন করানোর পাশাপাশি ব্যক্তিগত অর্থায়নেও ব্যাপকভাবে উন্নয়ন কার্যক্রম পরিচালনা করে প্রশংসিত হয়েছেন। টানা ২৪ বছর ধরেই মধুপুর ও ধনবাড়ীবাসীর কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছেন। রাজনৈতিক ব্যক্তি হিসেবে টাঙ্গাইলে জেলায় একমাত্র স্বপন ফকির জুলাই আগষ্টের আন্দোলনে টাঙ্গাইল জেলার সকল শহীদ ও গুরুতর আহতদের টাঙ্গাইল জেলা বিএনপি ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তত্ত্বাবধানে আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করেছেন।
২০০১ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত মধুপুর ধনবাড়ি উপজেলায় সরকারি ও নিজস্ব অর্থায়নে অসংখ্য রাস্তাঘাট, ব্রিজ-কালভার্ট, মসজিদ-মাদ্রাসা, কবরস্থান নির্মাণ, মন্দির-গির্জা, ২৩ টি স্কুল কলেজ ও মাদ্রাসা এমপিও ভুক্তকরণ, রেজিস্টার্ড প্রাথমিক বিদ্যালয়কে সরকারিকরণ, নিজস্ব অর্থায়নে গৃহহীন মানুষের জন্য স্বপন ফকির আশ্রয়ণ প্রকল্প স্থাপন, নতুন নতুন স্কুল কলেজ প্রতিষ্ঠা করা, নারীদের সুশিক্ষায় শিক্ষিত করার জন্য মহিলা কলেজ প্রতিষ্ঠা, অসহায় দুঃস্থ, অসুস্থ মানুষের চিকিৎসা, এতিম মানুষদের জন্য সহযোগিতার হাত বাড়ানোসহ নানাবিধ উন্নয়ন মূলক কর্মকাণ্ডে ব্যাপক অবদান রাখেন ১/১১ এর সরকার থেকে বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে দলীয় নেতাকর্মীদের পাশে থেকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করেছেন। ২৮শে অক্টোবর ২০০৬ সালে আওয়ামী লীগ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নারকীয় তাণ্ডবে দলীয় কর্মীদের বিপদে যানবাহন চলাচল নিষেধাজ্ঞা থাকায় হেলিকপ্টারের মাধ্যমে এসে পাশে দাড়িয়েছেন। নেতাকর্মীদের মিথ্যা মামলা থেকে জামিনের ব্যবস্থা করার জন্য নিজে উপস্থিত থেকেছেন টাঙ্গাইল জজ কোর্ট ও হাইকোর্টে। বিএনপি ঘোষিত সর্বশেষ ২০২২ সাল থেকে চলমান হাসিনা বিরোধী আন্দোলনে আটক নেতাকর্মীদের কারাগার থেকে মুক্তির জন্য নিম্ন আদালত ও উচ্চ আদালতের মাধ্যমে জামিন, কারাগারে সহযোগিতার ব্যবস্থা করার পাশাপাশি কারা অভ্যন্তরে নেতাকর্মীদের পরিবারের খোঁজ খবর রেখেছেন। রাজনৈতিক ব্যক্তি হিসেবে টাঙ্গাইলে জেলায় একমাত্র স্বপন ফকির জুলাই আগষ্টের আন্দোলনে টাঙ্গাইল জেলার সকল শহীদ ও গুরুতর আহতদের টাঙ্গাইল জেলা বিএনপি ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তত্ত্বাবধানে আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করেন। বিএনপির প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকে দলের জন্য স্বপন ফকিরের পরিবারের অবদান অনস্বীকার্য। বিএনপির প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকেই এই দলের সাথে স্বপন ফকিরের পরিবার জড়িত, তার বড় চাচা আফাজ উদ্দিন ফকির ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও বিএনপি দলীয় সাবেক এমপি। তার আরেক চাচা প্রখ্যাত সুরকার ও গীতিকার, মরণোত্তর একুশে পদক প্রাপ্ত লোকমান হোসেন ফকির ছিলেন জাসাস এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংস্কৃতিক সম্পাদক। ঢাকা, টাঙ্গাইল ও মধুপুর ধনবাড়ীতে কেন্দ্রীয় বিএনপি ঘোষিত কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করে বিশেষ ভূমিকা রেখেছেন এবং নেতাকর্মীদের উজ্জীবিত করেছেন। ক্লিন ইমেজের মানুষ হিসেবে মধুপুর ধনবাড়ি তথা সারা টাঙ্গাইল জেলায় স্বপন ফকিরের সুনাম রয়েছে। পাশাপাশি দানবীর ও শিক্ষানুরাগী হিসেবে স্বপন ফকিরের বিশেষ খ্যাতি রয়েছে।
স্বপন ফকির বলেন, ৫ আগষ্টে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর মধুপুর ধনবাড়ি উপজেলার প্রতিটি পাড়া মহল্লায় শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য আমার নেতা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষে বিএনপির প্রতিনিধি হিসেবে চষে বেড়াচ্ছি। নিজের সামর্থ্য অনুযায়ী সাধারণ জনগণের পাশে থাকার সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। জনগনের মাঝে বিএনপি কর্তৃক ঘোষিত রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফা পৌছানোর সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আমি এমপি নির্বাচিত হলে এক টাকার দূর্নীতি করবো না, মধুপুর ধনবাড়ির জনগণের জন্য বরাদ্দকৃত অর্থ শতভাগ জনকল্যাণে ব্যয় করবো ইনশাআল্লাহ। পাশাপাশি মধুপুরকে জেলায় উন্নীত করবো। মধুপুর ধনবাড়ি থেকে টাঙ্গাইল ও জামালপুর পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণ করে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন করবো। মধুপুর ধনবাড়ীতে গ্যাস এনে হাজার হাজার যুবকের কর্মসংস্থানের জন্য শিল্পকারখানা তৈরি করবো। এই অঞ্চলের জনগণকে কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত করে মানবসম্পদে রুপান্তরের জন্য কারিগরি স্কুল কলেজ প্রতিষ্ঠা করবো। মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠায় সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো। দুইটি উপজেলায় মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণ করবো। আদিবাসীদের ভূমি সমস্যার সমাধানসহ তাদের জন্য প্রয়োজনীয় সকল কিছু শতভাগ বাস্তবায়ন করবো। আনারসের সঠিক বাজারজাত করণের পাশাপাশি বিদেশে আনারস রপ্তানির ব্যবস্থা করবো ইনশাআল্লাহ। মাদকের বিরুদ্ধে আমার অবস্থান জিরো টলারেন্স। সাধারণ জনগণের পাশাপাশি মা বোনরা গত তিনটি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট দিতে পারেনি। আগামী সংসদ নির্বাচনে তাদের ভোট দেওয়ার আগ্রহটা অনেক বেশি। এবং তারা আমাকে এমপি হিসেবে তাদের সেবা করার সুযোগ দিবে বলে জানিয়েছেন। আমি কথায় নয় কাজে বিশ্বাসী। আমি প্রতিশ্রুতি দিলে তা বাস্তবায়নের জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করি। বিগত ২৪ বছর এমপি না হয়েও আমার মধুপুর ধনবাড়ির জনগণের জন্য নিজের সর্বোচ্চটা দিয়ে কাজ করেছি। আগামীতে মধুপুর ধনবাড়ির জনগণের জন্য আমার জীবন উৎসগ কাজ করবো।
মধুপুর ও ধনবাড়ি উপজেলার সাধারণ জনগণের সাথে কথা বলে জানা যায়, স্বপন ফকির একজন ভদ্রলোক, নির্লোভ ও পরোপকারী সৎ লোক। স্বপন ফকিরের মুখ থেকে এখন পর্যন্ত কাউকে নিয়ে কটাক্ষ করে কথা বলতে শুনিনি। কাউকে নিয়ে বাজে মন্তব্য করতেও শুনিনি। সে দূর্নীতি করবে না সবাই মনে প্রাণে বিশ্বাস করে। এমন মানুষ এমপি নির্বাচিত হলে সরকারি কোন অনুদান চুরি হবে না, দূর্নীতি হবে না জনগণের জন্য বরাদ্দকৃত অর্থ জনগণের কল্যাণে ব্যয় হবে। তার মাধ্যমে জনগণের উপকার হবে শতভাগ। স্বপন ফকিরকে যারা পছন্দ করে না বা রাজনৈতিক কারণে বিরোধিতা করে তারাও একবাক্যে এই কথাগুলো বিশ্বাস করে। স্বপন ফকির এমপি নির্বাচিত না হয়েও ধনবাড়ী উপজেলা করেছে, বিভিন্ন স্কুল কলেজ প্রতিষ্ঠা করেছে, রাস্তা ঘাট নির্মাণ করেছে, বিনা স্বার্থে ২৩ টি স্কুল কলেজ ও মাদ্রাসা এমপিও ভুক্তকরণসহ প্রতিটি ইউনিয়নে নানাবিধ উন্নয়ন মূলক কর্মকাণ্ড করেছে যা দৃশ্যমান, এই সকল কাজ কোনো এমপি মন্ত্রীও বিগত দিনে করেনি। স্বপন ফকির এমপি হলে আর যাই হোক অন্যদের মতো চুরিচামারি তথা দূর্নীতি করবে না। আমরা এমন একজন কর্মবীরকে আগামী দিনে এমপি নির্বাচিত করতে চাই।
বিএনপিসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের একাধিক নেতাকর্মী বলেন, বিগত ১৭ বছর স্বৈরাচার শেখ হাসিনার শাসনামলে বিএনপিসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের উপর নির্যাতন, নিপীড়নের স্টিমরোলার চালিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে স্বপন ফকির ছাড়া আমাদের খোঁজ খবর কেউ রাখেনি, নেতাকর্মীদের বিপদে পাশে দাড়ায়নি। ঢাকা, টাঙ্গাইল ও মধুপুর ধনবাড়িতে বিএনপি ঘোষিত কর্মসূচি সফল করতে সকল প্রকার ব্যবস্থা করেছে স্বপন ফকির । নেতাকর্মীদের জেল-জুলুম হামলা মামলায় সর্বদা পাশে থেকেছেন স্বপন ফকির। এখন অনেক নেতারই আগমন ঘটেছে এমপি হওয়ার স্বপ্নে অথচ বিগত ১৭ বছর বিএনপির কোনো প্রোগ্রাম মধুপুর ধনবাড়ির নেতাকর্মীর খোঁজ খবর রাখেনি, সহযোগিতা করেনি, এমনকি জেল-জুলুম হামলা মামলায় পাশে দাড়ায়নি। ৫ আগষ্টে হাসিনা সরকারের পতনের পর অনেক নেতার আগমন ঘটেছে। স্বপন ফকির বিগত ২৪ বছর দলকে সুসংগঠিত করছেন ও দলের নেতাকর্মীদের দুঃসময়ে লক্ষ লক্ষ টাকা ব্যয় করেছেন। দুর্দিনের বন্ধু স্বপন ফকিরই আগামী দিনে ধানের শীষ প্রতীকে মধুপুর ধনবাড়ি থেকে এমপি হওয়ার একমাত্র উপযুক্ত প্রার্থী।