ঢাকা | 12 September 2025

ভালোবাসার বিনিময়ে মধুপুর-ধনবাড়ীবাসীর কল্যাণ করতে চাই ... অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আলী

স্টাফ রিপোর্টার, .
নিউজ প্রকাশের তারিখ :Sep 5, 2025 ইং
ছবির ক্যাপশন: মধুপুরে বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আলীর ভক্তদের শোভাযাত্রা। ছবির ক্যাপশন: মধুপুরে বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আলীর ভক্তদের শোভাযাত্রা।
ad728

বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আলী বলেছেন, আমি কৃষকের সন্তান। মধুপুরের সন্তান। আমি ছাত্রজীবন থেকেই বিএনপির কর্মী হিসেবে লড়াই সংগ্রাম করেছি। জীবনবাজী রেখে আন্দোলন করেছি। ১৭টি মামলা খেয়েছি। দুইবার জেল খেটেছি। আমি আপনাদের সন্তান হিসেবে আপনাদের ভালোবাসা চাই। শুধুমাত্র আপনাদের ভালোবাসার বিনিময়ে সারাজীবন মধুপুর-ধনবাড়ীবাসীর কল্যাণ করতে চাই। তিনি বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে ৪ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার বিকেলে মধুপুরে আয়োজিত বিশাল শোভাযাত্রা শেষে সমাবেশে এ কথাগুলো বলেন।
সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আলী টাঙ্গাইল-১ (মধুপুর-ধনবাড়ী) আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী। তিনি জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব ও জিয়া ফাউন্ডেশনের পরিচালক। তার উদ্যোগেই বিএনপির প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর শোভাযাত্রা ও সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
বিকেল চারটার পর থেকে মধুপুর পৌরসভা ও বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে মিছিল নিয়ে দলে দলে মোহাম্মদ আলীর ভক্তরা মধুপুর কলেজে মাঠে সমবেত হন। বিকেল পাঁচটায় মধুপুর কলেজ মাঠ থেকে অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আলীর নেতৃত্ব মিছিল শুরু হয়। অনেকে নেচে গেয়ে মিছিলে অংশ নেন। মিছিলের অগ্রভাগে লাঠিয়াল লাঠি খেলা প্রদর্শন করে। মিছিলটি মধুপুর থানার মোড়ে অডিটরিয়াম চত্বরে এসে শেষ হয়। পরে সেখানে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘আমাদের নেতা দেশনায়ক তারেক রহমান লন্ডনে বসেই দক্ষতার সাথে সুন্দরভাবে বিএনপির নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তিনি খুব শীঘ্রই দেশে ফিরবেন। তাকে স্বাগত জানানোর জন্য দেশবাসী প্রস্তুত হয়ে আছে। তার নেতৃত্বে সুখি সমৃদ্ধশালী একটি নিরাপদ সুন্দর বাংলাদেশ গড়ে তোলা হবে। তিনি ৩১ দফা বাস্তবায়নের মাধ্যমে বেকারত্ব দূর করবেন। প্রতিটি পরিবারে ফ্যামিলি কার্ড প্রদান করে নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবেন। 
মোহাম্মদ আলী আরও বলেন, আমাদের শ্রদ্ধেয় নেতা জিয়াউর রহমানের জন্ম না হলে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হতো না। সংবাদপত্রের স্বাধীনতা হতোনা। জিয়াউর রহমানের জন্ম না হলে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল সৃষ্টি হতোনা। তার গড়া এই দল যুগে যুগে বাংলাদেশে সবচেয়ে জনপ্রিয় দল হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। আমরা সেই দলের কর্মী হিসেবে গর্ববোধ করি।

তিনি বলেন, আমরা আন্দোলন করেছি লাল পাসপোর্ট নিয়ে বিদেশ ঘুরে বেড়ানোর জন্য নয়। আমরা মামলা খেয়েছি ভোগবিলাসে এসিরুমে জীবন কাটানোর জন্য নয়। আমরা কারাগারে বন্দি থেকেছি শেখ হাসিনার অত্যাচার নির্যাতন নিষ্ঠুরতা থেকে দেশবাসীকে বাঁচানোর জন্য। আমরা দেশের খেটে খাওয়া মানুষের মুখে হাসি ফুটানোর জন্য সবসময় পাশে এসে দাড়িয়েছি। আগামীতেও পাশে থাকতে চাই।
তিনি বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতেই হবে। ওই নির্বাচনে প্রার্থী নির্বাচিত করা হবে তিনটি যোগ্যতার ভিত্তিতে। প্রথম যোগ্যতা হলো আন্দোলন সংগ্রামে সক্রিয় অংশ গ্রহণ। দ্বিতীয় যোগ্যতা হলো জনমতের ভিত্তি এবং তৃতীয় যোগ্যতা হলো ক্লীন ইমেজ। আমি বিশ্বাস করি ওই তিনটি যোগ্যতাই আপনাদের প্রার্থী মোহাম্মদ আলী ফাস্ট ক্লাস ফাস্ট। অন্য প্রার্থীরা তাদের যোগ্যতার কথা বলতে গিয়ে তারা প্রথম যোগ্যতার কথা এড়িয়ে যান। কারণ তাদেরতো ওই যোগ্যতাই নেই। তারা কখনো আন্দোলন সংগ্রামে ছিলেননা। 
সভায় বিএনপির সাবেক নেতা মো. আনোয়ার হোসেন, পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল লতিফ পান্না, উপজেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি জয়নাল আবেদীন বাবলু, যুবদলের সাবেক আহবায়ক আব্দুল মান্নানসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।



কমেন্ট বক্স

এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ