ছবির ক্যাপশন:
বক্তারা বলেন, বাংলাদেশ সরকার সম্প্রতি আইএলও কনভেনশন ১৯০ (আইএলও-সি১৯০) স্বাক্ষর করেছে, যা কর্মক্ষেত্রে সহিংসতা ও হয়রানির বিরুদ্ধে লড়াই করে। এখন যদি কর্মক্ষেত্রে নারী-পুরুষের জন্য এ ধরনের সহিংসতা ও হয়রানিমুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করা না যায় তাহলে বাংলাদেশকে বিপদে পড়তে হবে। কারণ বিদেশী রফতানিকারকরা কর্মীদের কর্মক্ষেত্রের পরিবেশকে গুরুত্ব দিচ্ছে। তবে কর্মক্ষেত্র শুধু নারীদের জন্য সুরক্ষিত করলে হবে না। অনেক সময় কর্মক্ষেত্রে ঊর্ধ্বতন কর্তাদের হাতে পুরুষ কর্মীরাও সহিংসতার শিকার হতে পারে। এজন্য আমরা বলছি লিঙ্গ সংবেদনশীলতা। এখানে শুধু কোম্পানি মালিক বা বস নয়; পাশাপাশি কর্মীদের সচেতন হতে হবে। কর্তা-কর্মী উভয়কেই একসঙ্গে কাজ করতে হবে।
সেমিনারে বিকেএমইএর কমপ্লায়েন্স সেলের যুগ্ম সচিব ফারজানা শারমিন বলেন, ‘একটি সম্মানজনক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক কর্মসংস্কৃতি গড়ে তোলার ভিত্তি হিসেবে লিঙ্গ সংবেদনশীল কর্মক্ষেত্র গড়ে তোলা খুবই জরুরি। বিকেএমইএ ৫০টি আরএমজি কারখানার ১০০ জন প্রশিক্ষককে প্রশিক্ষণ দিয়েছে কারখানার প্রশিক্ষকদের কাছে রিসোর্স প্যাক টুলকিটটি পরিচয় করিয়ে দেয়ার জন্য। যারা এখন লিঙ্গ সংবেদনশীল অনুশীলন সম্পর্কে শ্রমিকদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করছে।’