ঢাকা | 12 September 2025

টাঙ্গাইলে দুদকের ১৮২তম গণশুনানি অনুষ্ঠিত।। অভিযোগ করায় একজনকে মারধর

Deleted, Deleted
নিউজ প্রকাশের তারিখ :Aug 25, 2025 ইং
ছবির ক্যাপশন: টাঙ্গাইলে গণশুনানি অনুষ্ঠানে মঞ্চে উপবিষ্ট দুদক কমিশনার মিঞা মুহাম্মদ আলী আকবার আজিজী, টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক শরীফা হকসহ অন্যান্য অতিথিবৃন্দ। ছবির ক্যাপশন: টাঙ্গাইলে গণশুনানি অনুষ্ঠানে মঞ্চে উপবিষ্ট দুদক কমিশনার মিঞা মুহাম্মদ আলী আকবার আজিজী, টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক শরীফা হকসহ অন্যান্য অতিথিবৃন্দ।
ad728

টাঙ্গাইলে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) আয়োজিত গণশুনানিতে ২৯ টি দপ্তরের বিরুদ্ধে ১৫১ অভিযোগ আনেন ভুক্তভোগিরা। এর মধ্যে ৬৯টির শুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে। তাৎক্ষণিক নিষ্পত্তি হয়েছে ৩৮টি অভিযোগের। ৬টি অভিযোগ অনুসন্ধানের আওতায় আনা হয় এবং ২৫জন অভিযোগকারি অনুপস্থিত ছিলেন।
সোমবার (২৫ আগস্ট) জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে অনুষ্ঠিত গণশুনানি করেন দুদকের কমিশনার মিঞা মুহাম্মদ আলী আকবার আজিজী।

এদিকে দুদকের গণশুনানিতে অভিযোগ করায় টাঙ্গাইল সদর উপজেলার মগড়া ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হারুণ অর রশিদের বিরুদ্ধে অভিযোগকারি নজরুল ইসলামকে নির্যাতন করার অভিযোগ উঠেছে। 
নির্যাতনের শিকার নজরুল ইসলামের স্ত্রী চায়না বেগম জানান, মগড়া ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হারুন অর রশীদের বিরুদ্ধে দুদকের গনশুনানিতে অভিযোগ করেন ছোট বাসালিয়া তালতলা এলাকার বাসিন্দা আমার স্বামী নজরুল ইসলাম। এই অভিযোগে ক্ষুব্ধ হয়ে চেয়ারম্যানের লোকজন তাকে সোমবার সকালে নির্যাতন করে ধরে নিয়ে যায়। এই বিষয়টি দুদক কমিশনারকে জানালে তিনি তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন। 
এ ব্যাপারে টাঙ্গাইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তানভীর আহমেদ জানান, চায়না বেগমের অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। আহত নজরুল ইসলাম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। অপরাধে যুক্তদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

এছাড়া গণশুনানিতে টাঙ্গাইল শহরের বিভিন্ন খাল দখলের অভিযোগ আনা হয় পৌরসভার বিরুদ্ধে। শহরের শ্যামা খাল দখল করে একাধিক মার্কেট নির্মাণ ও বিভিন্ন খাল উদ্ধারের পরিবর্তে ড্রেন করার অভিযোগ আনা হয়। এছাড়াও বহুতল ভবন নির্মাণের নামে কয়েকজন ব্যবসায়ীকে উচ্ছেদ করার অভিযোগ আনা হয়েছে সাবেক মেয়রদের বিরুদ্ধে। সদর উপজেলার মগড়া ইউনিয়নসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ারম্যানদের বিরুদ্ধে টিআর, কাবিটার টাকা আত্মসাদের অভিযোগ আনা হয়। মামলা দিয়ে হয়রানি অভিযোগ করা হয়েছে বন বিভাগের বিরুদ্ধে। মিটার না দেখে কয়েক বেশি বিল করার অভিযোগ আনা হয়েছে বিদ্যুৎ বিভাগের বিরুদ্ধে। কালিহাতীর তোফাজ্জল হোসেন খান তুহিন কারিগরি কলেজসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের বিরুদ্ধে নিয়োগ বাণিজ্য, অর্থ আত্মসাতসহ নানা দুর্নীতির অভিযোগ আনা হয়।  

এছাড়া জেলা প্রশাসনসহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ আনা হয়। দুদক কর্মকর্তারা কিছু অভিযোগের বিষয়ে তাৎক্ষণিক সমাধান করেন। পাশাপাশি বিভিন্ন অভিযোগের বিষয়ে দুদকের কেন্দ্রীয় কার্যালয় তদন্ত করার ঘোষণা দেন। কিছু অভিযোগ জেলা প্রশাসন ও জেলা দুদকের কর্মকর্তাকে তদন্তের জন্য দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।

জেলা প্রশাসক শরীফা হকের সভাপতিত্বে অভিযোগের জবাব দেন স্থানীয় সরকারের উপপরিচালক ও পৌরসভার প্রশাসক শিহাব রায়হান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) সঞ্জয় কুমার মহন্ত, বিভাগীয় বন কর্মকর্তা ড. আবু নাসের মোহসিন হোসেন, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা রেবেকা সুলতানা, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. সাহাব উদ্দিন, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আনোয়ার হোসেন প্রমুখ।

এ সময় বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা ও অভিযোগকারীরা উপস্থিত ছিলেন।



কমেন্ট বক্স

এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ